রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননকে কেন্দ্র করে খননকারী ছাত্রলীগ নেতা লিটন মোল্লা ওরফে লিখনের ভারাটিয়া লোকজনের মারপিটে তিন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪ টার সময় মোহনপুর উপজেলার বাদেজুল-শিবপুর বিলে এমন ঘটনা ঘটছে।
এই ঘটনায় শনিবার রাতে নাজমুল হোসাইন বাদী হয়ে ধুরইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিটন মোল্লা ওরফে লিখনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০থেকে ১২ জনকে আসামি করে মোহনপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’— এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ফসলি কৃষি জমি গুলো পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এর ধারাবাহিকতায় অপরিকল্পিতভাবে মোহনপুর উপজেলার বাদেজুল-শিবপুর বিলের প্রায় দুই শতাধিক বিঘা জমি লীজ নিয়ে এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় ধুরইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিটন মোল্লা ওরফে লিখন পুকুর খননের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার সময় স্থানীয় লোকজন খনন কাজে বাঁধা দেন। ওই সময় পুকুর খননকারী ছাত্রলীগ নেতা লিটন মোল্লা ওরফে লিখনের নেতৃত্ব ১০/১২ জন ভাড়াটিয়া লোক মিলে হাতে চাপাটি, লোহার পাইপ, হাতুড়ী ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বিলের মধ্যে মারপিট করে তিনজনকে গুরুতর আহত করে। আহতরা হলেন, উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের মৃত সদের গাইনের ছেলে সেলিম রেজা, চাঁন্দপাড়া গ্রামের নাজমুল হাসান ও পোল্লাকুড়ি গ্রামের আনার আলীর ছেলে সোহেল রানা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুকুর খননকারী ছাত্রলীগ নেতা লিটন মোল্লা ওরফে লিখন (৩২), এক্সক্যাভেটের চালক জাফরুল ইসলাম (১৯),নাজমুল হক (২৩) কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন,পুকুর খননকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ছাত্রলীগ নেতা লিখনসহ তিন আসামিদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।