ফখরুল-খসরু কারামুক্ত হতে পারেন আজ


, আপডেট করা হয়েছে : 15-02-2024

ফখরুল-খসরু কারামুক্ত হতে পারেন আজ

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর ফলে আজ তারা কারামুক্ত হতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।


শুনানিকালে আসামিদের পক্ষে জয়নুল আবেদীন, মো. আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন শুনানি করেন। আসামিদের অসুস্থতা, বয়স, সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিন প্রার্থনা করেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।


মির্জা ফখরুল ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ যুগান্তরকে বলেন, মির্জা ফখরুল ও আমির খসরুর বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় এই দুজনের কারামুক্তিতে বাধা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি হাজতি পরোয়ানা রয়েছে। বৃহস্পতিবার আমরা হাজতি পরোয়ানা বাতিলের জন্য আবেদন করব। আশা করি বৃহস্পতিবারই উনারা কারামুক্ত হবেন।


এর আগে এ মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত শুনানির জন্য ১৪ ফেব্র“য়ারি দিন ধার্য করেন।


২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।


এ ঘটনার পর ২৮ অক্টোবর গুলশানের নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


গ্রেফতারের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমির খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দেওয়া হয়। এ মামলা ছাড়া তারা সব মামলাতেই জামিনে ছিলেন। 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার