এমবাপ্পের পেছনে ৫০ কোটি ইউরো খরচে প্রস্তুত যে ক্লাব


, আপডেট করা হয়েছে : 18-02-2024

এমবাপ্পের পেছনে ৫০ কোটি ইউরো খরচে প্রস্তুত যে ক্লাব

অনেক দিন থেকে নাটকীয়তা উপহার দিয়ে চলা এমবাপ্পের দলবদল নিয়ে কৌতূহল তাই অনেকটাই কেটে গেছে বলা যায়। এবার শুরু হয়েছে হিসাব-নিকাশের পালা— কত বছরের জন্য রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছেন তিনি। তার পেছনে রিয়ালের খরচইবা কত হতে যাচ্ছে।  


এর আগে প্যারিস ছাড়ছেন— পিএসজিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এটা জানানোর পর কিলিয়ান এমবাপ্পে সতীর্থদের কাছেও বলেছেন মৌসুম শেষে তার সম্ভাব্য বিদায়ের কথা। 


একটা বিষয় আগেই নিশ্চিত হয়েছে, এমবাপ্পেকে পেতে কোনো ট্রান্সফার ফি দিতে হচ্ছে না রিয়ালকে। এ মৌসুম শেষে পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে তার। তখন তিনি হয়ে যাবেন মুক্ত খেলোয়াড়। 


এ কারণে রিয়াল তাকে পাচ্ছে বিনা ট্রান্সফার ফিতে। তবে বেতন আর নানা রকমের ভাতার পেছনে তো খরচ আছেই। 


স্পেনের সংবাদমাধ্যম এএসের সাংবাদিক মার্কো রুইজ খবর দিয়েছেন, এমবাপ্পের সঙ্গে রিয়ালের চুক্তিটা হতে যাচ্ছে ৫ বছরের জন্য। এই ৫ বছরে সব মিলিয়ে ফরাসি তারকার পেছনে রিয়ালের খরচ হবে ৫০ কোটি ইউরো।


এখন প্রশ্ন আসছে— এমবাপ্পের জন্য এই পরিমাণ অর্থের সংস্থান রিয়াল মাদ্রিদ কীভাবে করবে! পিএসজি তারকাকে দলে ভেড়ালেও যাতে আর্থিক সংগতি আইনে ব্যত্যয় না ঘটে, সে জন্য অসাধারণ এক পরিকল্পনাই করে রেখেছে রিয়াল। 


৫ বছরের জন্য ফরাসি তারকাকে বড় অঙ্কের সাইনিং বোনাস আর মোটা অঙ্কের বেতন দেবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটি। সব মিলিয়ে যে ৫০ কোটি ইউরো খরচ হবে, এর ১ কোটি ২৮ লাখ ইউরো রিয়াল নগদ খরচ করবে। আর ঋণ করবে ২ কোটি ৬৫ লাখ ইউরো।


এ ছাড়া এমবাপ্পেকে দলে ভেড়ানোর পর উয়েফার আর্থিক সংগতি নীতি ঠিক রাখতে গত বছর ক্লাবের সামগ্রিক বেতন ৭ কোটি ৮০ লাখ ইউরো কমিয়েছে রিয়াল। এর সঙ্গে বার্নাব্যু স্টেডিয়াম থেকেও আগের তুলনায় আয় বাড়বে বলে দেখিয়েছে তারা। স্টেডিয়াম থেকে রিয়ালের বর্তমান আয় ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। এটা বেড়ে হবে ৩ কোটি ১৭ লাখ ইউরো।


২০২৩ সালের ৩০ জুনের হিসাব অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদের বেতনভোগী কর্মীর সংখ্যা ১ হাজার ৭২। ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন আর্থিক সংগতি নীতির ক্ষেত্রে ক্লাবের আর্থিক দক্ষতার বিষয়টি দেখে। এ ক্ষেত্রে নিয়মটা এ রকম— ক্লাবের কর্মীদের বেতনভাতা তাদের আয়ের ৭০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। 


গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের কর্মীদের বেতন বাবদ খরচ ছিল তাদের মোট আয়ের (৭ কোটি ১২ লাখ ইউরো) ৭২ শতাংশ (৫ কোটি ১৯ লাখ ইউরো)। ক্লাবের সর্বশেষ আর্থিক রিপোর্ট বলছে, এটা কমে মোট আয়ের (৮ কোটি ৪৩ লাখ ইউরো) ৫৪ শতাংশ (৪ কোটি ৫২ লাখ) হয়েছে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার