রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে সেটা বাস্তবায়নযোগ্য কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। এজন্য সরেজমিন পরিদর্শন করতে হবে। প্রকল্প যেন বারবার সংশোধন করা না লাগে। সরকারি সেবা শেষ প্রান্ত পর্যন্ত নয় শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেলা পৌনে বারোটায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে অপ্রয়োজনীয় সময় যেন না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণে অনুমোদন দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি দুই ফসলি জমিও অধিগ্রহণ না করার পরামর্শ দেন।
কমিউনিটি আই কেয়ার সেন্টার প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উদ্যোগ উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার এ প্রতিষ্ঠানের সেবার বিষয়ে প্রচার-প্রচারণার তাগিদ দেন। এ সময় তিনি সর্বজনীন পেনশন উদ্যোগ বিষয়ে অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে এবং এ উদ্যোগের বিষয়ে প্রচার বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় নিপাহ্ ভাইরাস প্রতিরোধে কাঁচা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি রস বিক্রি বন্ধ করা, ক্রেতার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দৃষ্টিতে দেওয়া, কোনো প্রলোভনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভাতাভোগীরা যেন প্রতারণার শিকার না হয় সে লক্ষ্যে প্রচারণা বাড়ানো, সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাত প্রদানে উদ্বুদ্ধ করাসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ এবং বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসকবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।