পুঠিয়া ভূমি অফিসে নেই হয়রানি ও দূর্ভোগ, বেড়েছে সেবার মান


, আপডেট করা হয়েছে : 24-02-2024

পুঠিয়া ভূমি অফিসে নেই হয়রানি ও দূর্ভোগ, বেড়েছে সেবার মান

পুঠিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে প্রজাসারধারনদের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমেছে, সেই সাথে বেড়েছে সেবার মান। উপজেলা ভূমি অফিসে দ্রুততার সাথে সেবা মেলায় খুশি প্রজা সাধারণরা। শুধু তাই নয়, অফিসটির বাহ্যিক পরিবেশও এখন আকর্ষণীয়। রাজশাহীর জেলার পুঠিয়া উপজেলা ভূমি অফিসকে ভেতর-বাইরে এমন ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালে ৯জুলাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক পুঠিয়া উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই ভূমি কর (রাজস্ব) আদায়ের পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নামজারি কেস নিষ্পত্তি করে গত ১০ মাস ধরে জেলায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। একটা সময় যেখানে নিজের জমি খারিজ করতে সময় লেগে যেত ১০ মাস থেকে এক বছর। সেই খারিজ সম্পন্ন করতে সময় লাগছে মাত্র ১৭ দিন। যেটি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের চেয়েও কম সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে। ভূমি অফিসে আসা জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগে পুঠিয়া ভূমি অফিসে আসলে কে দালাল আর কে এই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী তা বোঝা দায় ছিল। দালালদের পেছনে ঘুরে ঘুরে জমির নামজারি বা অন্যান্য কাজ করতে হতো। তাদের মনে ছিল ক্ষোভ-অসন্তোষ। তারা অভিযোগ জানানোর মত কাউকে পেতেন না। কিন্তু সেই নেতিবাচক ধারণা পাল্টে দিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক, ভূমি অফিস চত্বরটিতে বেশ ছায়াঢাকা পরিবেশ। 

সেই পরিবেশটিকে আরো মোহনীয় করা হয়েছে। করা হয়েছে ফুলের বাগান, পড়ে থাকা খাল জায়গায় শাক- সবজি আবাদ, জনগণের নানা কাজ করার জায়গা বা অপেক্ষার জন্য গোল ঘরটিকে টাইলস দ্বারা বেষ্টন করা হয়েছে। এখানে গাছের গোড়াগুলো টাইলস্ দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। ভূমি অফিসের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজটিও সম্পন্ন করা হয়েছে। 

এছাড়া সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণের জন্য অফিসের ফুটপাতের অংশটুকুও আকর্ষণীয় করতে টাইলস দ্বারা বাঁধানো হয়েছে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা একটি সুন্দর পরিবেশে অপেক্ষা করে তাদের সেবা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন। এখানে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন সহকারী কমিশনার। তিনি আগতদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও ঝকঝকে টয়লেট নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেখানে আগত জনগণ কেমন সেবা পাচ্ছেন তা মনিটর করা হয়। নামজারির সময় ২৮ দিনের কম সময়ে এ অফিস ১৭ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারছে। এক্ষেত্রে জেলার মধ্যে গত ১০ মাস ধরে পুঠিয়া উপজেলা ভূমি অফিস কম সময়ের মধ্যে নামজারীর আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জেলায় পুঠিয়ার অবস্থান শীর্ষ ছয়ের মধ্যে রয়েছে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় গত দু সপ্তাহে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক  জানান, তিনি সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছেন মাত্র। তিনি বলেন, আমি চাই সততার সাথে কাজ করতে এবং সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে জনগণের ভোগান্তি লাঘব করতে। আবার জমিজমা নিয়ে জালিয়াতি বা কেউ যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেটিও প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), একেএম নূর হোসেন নির্ঝর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু সহ সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানান।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার