সাঁড়াশি অভিযান কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে


, আপডেট করা হয়েছে : 26-02-2024

সাঁড়াশি অভিযান কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে

ফজলুর রহমান ।। কিশোরদের নিয়ে পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠছে অপরাধ সাম্রাজ্য। এরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, উঠতি বয়সী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, জমি দখলে ভাড়া খাটা থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসায়ও জড়িত। তাদের এমন অপরাধকর্মে কেউ বাদসাধলে হামলা, খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। বিভিন্ন সময়ে এ সব গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের হামলা, মারধরে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। রাজধানী ঢাকাতেই কিশোর গ্যাংয়ের অর্ধশতাধিক গ্রুপ রয়েছে। পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক গড়ে ওঠা এসব গ্রুপ কিংবা সদস্যদের নাম শুনলেই মানুষজনের মধ্যে আতঙ্কের শিহরণ জাগায়। রাজনৈতিক বড় ভাইদের ছত্রছায়ায় হরহামেশা অপরাধকর্ম করে এলেও বরাবর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল গ্যাং সদস্যরা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় কতিপয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করলেও এবার আটঘাঁট বেঁধে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুরু হয়েছে গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান। এই অভিযানে সারাদেশে অন্তত আড়াইশ’ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ। এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।   


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুরুতে রাজধানীকেন্দ্রিক থাকলেও পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে ‘কিশোর গ্যাং কালচার’। ২০২২ ও ২০২৩ সালে এদের হাতেই খুনের শিকার হয়েছেন ৫৫ জন। শুধু ২০২৩ সালেই অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৪৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তবে এসব অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না গ্যাং কালচার।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা যারা অপরাধে জড়াচ্ছে তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এরা যত বড় অপরাধই করুক না কেন তাদের শিশু আইনে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। ওই আইনে হত্যাকান্ডের মতো অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর। ফলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অপরাধ করে লঘু শাস্তির আওতায় থাকছে। এ জন্য শিশু অপরাধীদের বয়সসীমা কমিয়ে আনা যায় কিনা সেই বিষয়ে সরকারকে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। যদি শিশুর বয়সসীমা পুনর্নির্ধারণ না করা হয় তাহলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে অভিযানে একাধিক গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এভাবে অভিযান চলমান থাকলে একটা ভালো ফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, এ সকল অপরাধীদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো বড় ভাই কিংবা রাজনৈতিক নেতার তদ্বির গ্রহণ করা হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সকলে অপরাধী। আইনও এক। তবে কিশোরদের মধ্যে যারা অপরাধ করে থাকে, তাদের শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পার্থক্যটা এখানে। এদের অপসংস্কৃতি রোধ কিংবা দৌরাত্ম্য কমাতে জনপ্রতিনিধি, পাড়া-মহল্লার বাসিন্দাদের উচিত-কিশোরদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দেওয়া। শিল্প-সাহিত্য চর্চার অভ্যাস গড়ে তোলা।


রাজধানীতে কিশোর গ্যাং গ্রুপের দৌরাত্ম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সামান্য পান থেকে চুন খসলেই এদের হামলা, মারধরের শিকার হতে হয়। তুচ্ছ ঘটনায় সিনিয়দের নাজেহাল করতেও দ্বিধাবোধ করে না গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাগে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে আশিক মিয়া নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে জখম করে আরেক দল কিশোর। ৩০ জানুয়ারি কক্সবাজারের পৌর এলাকার সমিতি পাড়ায় ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ হাত থেকে নানিকে বাঁচাতে গিয়ে আলাউদ্দিন (১৫) নামে এক কিশোর খুন হয়। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানিয়েছে, আলাউদ্দিনের নানি একজন চায়ের দোকানি। তার দোকানে প্রায় সময়ই চা-নাস্তা খেয়ে টাকা পরিশোধ করে না এলাকার কয়েকজন কিশোর। ৩০ তারিখ রাতে পাওনা টাকা চাওয়ায় ওই নারীকে ছুরিকাঘাত করে তারা। পরে আলাউদ্দিন এগিয়ে এলে কিশোরদের হামলায় নিহত হয়।  


২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার প্রাণ হারায় কলেজছাত্র জিজান হাসান দীপ্ত (১৮)। এর আগে ১৬ জানুয়ারি কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত হয় দীপ্ত। দীপ্ত ঢাকার পিলখানায় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু এর আগেই বিপদগামী কিশোরদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে তাকে। এ ঘটনার পর শাকিল, তার সহযোগী অনিক ও আসাদ মিয়াকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগেও কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনায় কতিপয় সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হলেও মূলহোতারা বরাবর ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত বছরই ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হয় ২৫ জন। ২০২২ সালে খুন হয়েছে ৩০ জন।


ঢাকার শিশু আদালতের বিচারিক কার্যক্রমের নথি অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে রাজধানীতে কিশোর গ্যাং কালচার ও সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্ব ১৩০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় চার শতাধিক কিশোরকে আসামি করা হয়েছে।


সারাদেশের ‘কিশোর গ্যাং’ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) প্রতিবেদন তৈরি করেছিল ২০২২ সালের শেষ দিকে। এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে অন্তত ১৭৩টি কিশোর গ্যাং রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে এদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৭৮০টি। এসব মামলায় আসামি প্রায় ৯০০ জন। রাজধানীতে কিশোর গ্যাং রয়েছে ৬৬টি। চট্টগ্রাম শহরে আছে ৫৭টি। মহানগরের বাইরে ঢাকা বিভাগে রয়েছে ২৪টি গ্যাং। বেশিরভাগ বাহিনীর সদস্য ১০ থেকে ৫০ জন। তবে পুলিশের প্রতিবেদনে যে চিত্র উঠে এসেছিল, তার চেয়ে এখন পরিস্থিতি খারাপ।


প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীতে এমন ৫২টি সক্রিয় ‘কিশোর গ্যাং’ গ্রুপ রয়েছে। তালিকায় দেখা যায়, ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং রয়েছে মিরপুরে বিভাগে। এই বিভাগে ১৩টি কিশোর অপরাধীচক্রের ১৭২ সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এ ছাড়াও উত্তরা বিভাগে ৬টি, গুলশান বিভাগে ৭টি, তেজগাঁও বিভাগে ৭টি, রমনা বিভাগে ৭টি, মতিঝিল বিভাগে ৪টি, লালবাগ বিভাগে ২টি, ওয়ারী বিভাগে ৬টি সক্রিয় কিশোর গ্যাং রয়েছে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের প্রশ্রয় দেওয়ার পেছনে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক বড় ভাইদের নাম প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, কিশোর অপরাধ নানা কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে ভয়ংকর রূপে বেড়ে চলছে। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি কিংবা ঠিকাদারি বা উন্নয়ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির অনৈতিক ও আইন বহির্ভূত কাজের প্রয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রয়োজন হয়। প্রান্তিক অর্থনৈতিক পর্যায়ে অবস্থিত পরিবারগুলোর কিশোররা বেশি কিশোর অপরাধে জড়িত। এ ধরনের পরিবারে অভিভাবকের নির্দেশনা অনুসারে সন্তানদের সঠিকভাবে বড় করার পরিবেশ নেই। পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের কারণে নানাবিধ সমাজ বিরোধী অবস্থার সঙ্গে কিশোরদের পরিচয় ঘটে। এই সুযোগটি নিয়ে থাকে রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ও হীন উদ্দেশ্য দ্বারা প্রভাবিত কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী। অন্যদিকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচালিত অভিযান কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। আরও জোরালো এবং সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। শুধু কিশোর অপরাধীদের গ্রেপ্তার করলেই হবে না, এদের পৃষ্ঠপোষক বা কারিগরদেরও গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। বর্তমান বাস্তবতায় কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সংশোধনের সুযোগ রেখে আইন প্রয়োগ, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধকরণ, সামাজিক অনুশাসনের পরিধি বৃদ্ধি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে বাড়াতে হবে।


বর্তমানে রাজধানীসহ দেশবাসীর কাছে যেন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। এমন পরিস্থিতি উপলব্ধি করেই কিশোর গ্যাং রোধে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলছে নিয়মিত অভিযান। গত মঙ্গলবার যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৫০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।


র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা, পাড়া-মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। তাদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।


এর আগে ১৬ তারিখে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২। র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, সম্প্রতি মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত হয়ে আসছিল। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন ‘লেভেল হাই’, ৬ জন চাঁন গ্রুপ’, ৫ জন ‘লও ঠ্যালা গ্রুপ’ এবং ৭ জন  মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রয় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে। 


গত ৬ তারিখে আদাবর, মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী এবং কিশোর গ্যাং গ্রুপের ২০ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। র‌্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি ফজলু হক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির সততা পাওয়া গেছে। এদের বিরুদ্ধে রাজধানীতে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। 


গত বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং গ্রুপের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।


ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এরা চুরি-ছিনতাই, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধে জড়িত। তাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। দীর্ঘদিন ধরে কিছু বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে তারা এই কাজ করত। বিশেষ করে রাতের বেলা চাপাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে। দিনের বেলা বড় ভাইদের সঙ্গে ঘুরে। এদের ছাড়াতে কোনো বড় ভাই তদ্বির করলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।  


সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে ছয়টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের দলনেতাসহ ৩৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। এরা স্থানীয় ‘বড় ভাইদের’ প্রশ্রয়ে বিভিন্ন অপরাধ করত বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ।


র‌্যাবের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ১ হাজার ১২৬ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত বছর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৪৯ সদস্যকে। 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার