পুঠিয়াতে ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন দেখার কেউ নাই


শাহীন আলম , আপডেট করা হয়েছে : 24-06-2022

পুঠিয়াতে ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন দেখার কেউ নাই

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় কিছুতেই থামছে না তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ। এই পুকুর খনন হচ্ছে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কার্তিকপাড়া বাজারের উত্তর পাশের বিলে প্রায় ৪০ বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছেন রফিক নামের এক প্রভাবশালী ধনাঢ্য ব্যক্তি। এই অবৈধ পুকুর খননে  ভেকু মেশিন দিয়েছেন বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার শরিফ, ভেকু মেশিনের কন্টাকটার তিনি নাকি এই পুকুর খননে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার সহ সার্বিক বিষয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। ফসলি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর  খনন করা যাবে না ,ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক এমন নির্দেশনা বিদ্যমান থাকা 


 সত্ত্বেও তা বাস্তবায়নে কাজ করছেনা পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, প্রশাসনকে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে জানালেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। তারা আরো বলেন, পুঠিয়া উপজেলার মধ্যে সব থেকে বেশি সবজি চাষাবাদ করা হয় আমাদের শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে এবং আমাদের চাষ করা সবজি ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে রপ্তানি হয়ে থাকে। আমাদের এলাকার সবজির বেশ সুনাম রয়েছে কিন্তু যেভাবে আমাদের ফসলি জমিতে পুকুর খনন হচ্ছে এবং প্রশাসন তা দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।আমাদের ফসল করার মতো কোনো আর জায়গা থাকবেনা এভাবে পুকুর খনন যদি হতেই থাকে। তাই এসব অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষকেরা। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কার্তিক পাড়া বাজারের উত্তর পাশের বিলে ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) 


আরাফাত আমান আজিজ এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, পুকুর খনন বিষয়ে ভুক্তভোগী আমার কাছে লিখিত অভিযোগ না দেয়া পর্যন্ত আমি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব না। এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, আমি খোঁজ নিয়ে দেখে এই অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার