দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৩৮ জনে।
করোনায় গত ৩ মাসে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে সর্বশেষ গত ২০ মার্চ করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮০ জন, যা গতকাল ছিল ১ হাজার ৬৮৫ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৩ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৪৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৫১৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩ জনের মধ্যে ২ জন নারী ও ১ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ জন ও বরিশাল বিভাগে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ১ হাজার ২১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ৫০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের, ৫ জন বরিশাল বিভাগের ও ১ জন সিলেট বিভাগের।
দেশে দিন যত যাচ্ছে ফের করোনার প্রকোপ ততই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে চতুর্থ ঢেউয়ের ইঙ্গিত বলে আশঙ্কা করছেন।
দেশে করোনা সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারির পর ২০ জুন অর্থাৎ দীর্ঘ ৪ মাস পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্তের হার দশ শতাংশ (১০ দশমিক ৮৭) ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু বেশি না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।