বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করছে ছাত্রলীগ: মির্জা ফখরুল


, আপডেট করা হয়েছে : 01-04-2024

বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করছে ছাত্রলীগ: মির্জা ফখরুল

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। সরকার শিক্ষা খাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। 


রোববার গণফোরাম আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এ অভিযোগ করেন। পরে তিনি রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। 


মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘মৃত্যু’র সঙ্গে লড়ছেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন। একই সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া চাইছি।


বিএনপির মহাসচিব বলেন, পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত চলছে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য। এজন্য গবেষণার মাধ্যমে তার কাজগুলো নিয়ে বই তৈরি করেন। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিন। 


তিনি বলেন, যে মহাপুরুষ, ক্ষণজন্মার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে দেশ স্বাধীন হলো, যিনি রণাঙ্গনে লড়াই করলেন, সেই মানুষটাকে এখন পাকিস্তানের অনুচর করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। 


জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অনুষ্ঠানে বলেন, খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সেবা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত। তিনি বলেন, আমরা ভোট বর্জন করেছি। এবার ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। আসুন ভারতের নিকৃষ্টতম পণ্য আওয়ামী লীগকে বর্জন করি।


জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। 


এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংস যারা করেন, তাদের বলা হয় গণতন্ত্র রক্ষার প্রতীক! এই রীতি চালু করেছেন শেখ হাসিনা। কেউ যাতে কথা বলতে না পারে, প্রতিবাদ না করতে পারে, সে ব্যবস্থা কায়েম করেছেন শেখ হাসিনা। এই সরকারের পতন ছাড়া কেউ স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন না।


ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার মীর হেলালের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. সদরুল আমিন, বিএফইউজের (একাংশের) কাদের গণি চৌধুরী, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ প্রমুখ। 


বিশিষ্টজন ও পেশাজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এএসএম আবদুল হালিম, কবি আবদুল হাই শিকদার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, হেলেন জেরিন খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ। 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার