গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান।
শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রাণিসম্পদ শিল্পে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘ভেটেরিনারিয়ানগণ অপরিহার্য স্বাস্থ্য কর্মী।’
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এ ক্ষেত্রে প্রাণী চিকিৎসকদের অবদান অনস্বীকার্য।
প্রাণী চিকিৎসকদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে আবদুর রহমান বলেন, পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয় বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও তৈরি করতে হবে। আর এ জন্য প্রাণী চিকিৎসকদের যোগ্যতম জায়গায় কাজের সুযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র তৈরি করতে হলে প্রাণী চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি ইউনিয়নে। সবার সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক হলে কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়।
মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবেন প্রাণী চিকিৎসকরা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কারিগর হিসেবে প্রাণী চিকিৎসকদের স্বীকৃতি দেবেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স।