বাগমারায় আবারও চলছে সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ


, আপডেট করা হয়েছে : 30-04-2024

বাগমারায় আবারও চলছে সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আবারও চলছে সন্ত্রাসী বাহিনীদের তাণ্ডব। জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেত্রী। তার অভিযোগ, কয়েকজন পুলিশের সহযোগিতায় সর্বহারা ও জেএমবির সদস্যরা পুর্নগঠিত হয়ে এই হামলা চালাচ্ছে।


মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শাফিনুর নাহার। তিনি বাগমারা আওয়ামী লীগের বাগমারা উপজেলা কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি এর আগে ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাফিনুর নাহার বলেন, ‘আমার পরিবার ও এলাকায় পুলিশের সহযোগিতায় সর্বহারা-জেএমবি ও আব্বুর বাহিনীর যৌথ তাণ্ডবে বাগমারাবাসী অসহায় হয়ে গেছি। সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বাগমারা থানার ওসি যৌগিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ইলিয়াস ও মশিউর তাদের সহযোগিতায় এরা দিন রাত মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচার করিতেছে ।’


তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালে বাংলা ভাই বাহিনীর ক্যাডার আবুল, জালাল সরদার, সর্বহারা আলী আব্বু বাহিনীর অস্ত্র মামলায় বিচারাধীন শাহিনসহ আরও অনেকেই এলাকার মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। গত ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ সন্ত্রাসী এসে আমাকে ও আমার স্বামী আবদুল বারি, দেবর আবদুল মালেক, মোজাহার, মামুনকে পিটিয়ে জখম করে । এমনকি আমার স্বামীর হাত ভেঙে দেয় তারা। বাগমারা ওসিকে জানালে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমার দেবর আবদুর রউফকে গ্রেপ্তার করে । তাকে মাথায় পিস্তল ধরে ভয় দেখায় ।’ এসআই মশিউর বলে “বাগমারায় গ্রামের বাড়িতে আর কোনদিন আসবি না । বাগমারায় জেএমবি জামাল সরদার প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে শাফিনুরের পরিবার বাগমারা না ছাড়লে গোটা পরিবারকে বাংলা ভাই বাহিনীর মতো পা ঝুলিয়ে হত্যা করা হবে।”


আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ১ এপ্রিল বাংলা ভাইয়ের বাহিনী দিবালোকে মানুষ হত্যা করেছিল তখন রায়াপুর গ্রামের জালাল, আবুল মেম্বারসহ অনেকে ট্রেনিং নিয়ে জেএমবিতে যোগ দিয়েছিল। আমি তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলাম। সেই সময়ের প্রতিশোধ নিতে তারা বাগমরা থানার পুলিশের সহযোগিতা তাণ্ডব চালাচ্ছে। এর প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা বাগমারা থানায় নেই।’


তিনি বলেন, ‘২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বাগমারা থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। যার নম্বর ৩৯/২০২৪। মামলা করার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এমনিকে চেষ্টাও করেনি।’


তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গেল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাঁয়াপুর প্রামানিকপাড়া জামে মসজিদে এজাহারভূক্ত আসামীদের সাথে এসআই ইলিয়াস ফোর্সসহ জুম্মার নামাজ আদায় করেন । কোন আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেনি। সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির সামনে দল বেধে এসে যা ইচ্ছা তাই বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে । পুলিশকে জানালে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।’


এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এসআই ইলিয়াসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছি বলে কল কেটে দেন।


বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘শাফিকুন নাহার নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তাকে মামলা করার জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি মামলায় যে নামগুলো দিয়েছেন তা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে প্রমাণ পেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার