রাজশাহীতে বাস শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ


, আপডেট করা হয়েছে : 01-05-2024

রাজশাহীতে বাস শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ

রাজশাহী জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে বেলা ১১ টায় রাজশাহী বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।


এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাজশাহী বাস টার্মিনালের সামনে প্রধান সড়ক বাস ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। যানবাহন চলাচলে দেওয়া হয় বাধা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।


পরবর্তীতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বেলা বারোটার দিকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেন।


এর আগেও শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২২ সালে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম জনি।


তিনি বলেন, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতাকে শ্রমিকেরা নির্বাচিত করেছেন তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নের জন্য। কিন্তু হাজার হাজার শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করে জীবন ও জীবিকা নিয়ে খেলায় মেতেছেন ইউনিয়নের নেতারা।


সংগঠনের আয় হলেও জমার খাতায় কারচুপি। প্রতিদিন রাজশাহীর মিনিবাস থেকে আঞ্চলিক কমিটির নামে প্রায় ২০০ গাড়ি থেকে ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। ঢাকার লোকাল গাড়ি থেকে ৩১০ টাকা করে তোলা হয়। কিন্তু খাতায় জমা হয় মাত্র ১০০ টাকা। ঢাকার কোচ থেকে প্রতিদিন হাজার টাকা আদায় করা হলেও জমার খাতায় নেই।


রাজশাহীর বাইরে বগুড়া ও রংপুর অঞ্চলের গাড়িপ্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা তোলা হলেও জমা হয় না। ১০১ জন শ্রমিকের নামে ৩০ টাকা করে তোলা হয়। জমার খাতায় যোগ হয় মাত্র ২০ টাকা করে।


রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল আলম সাজু অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেরদন। তার কাছে শ্রমিকদের পাওনা ৪ কোটি টাকার বেশি। তাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকদের অর্থ ফেরত না দেয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তারা টাকা ফেরত না পেলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিবেন।


তবে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব চৌধুরী বলেন, আমি কোন অন্যায় করিনি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। যা আয় সেটি নিয়ম মতো শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার