দুর্গাপুরে প্রতীক পেয়ে প্রচারণার মাঠে প্রার্থীরা


, আপডেট করা হয়েছে : 05-05-2024

দুর্গাপুরে প্রতীক পেয়ে প্রচারণার মাঠে প্রার্থীরা

উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচার-প্রচারণার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমের মধ্য দিয়েও প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। আর ভোটারদের দিয়ে যাচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।


ইতিমধ্যে উপজেলা বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে আনাচে কানাচে ছেঁয়ে গেছে ব্যানার পোস্টারে। পাশাপাশি চলছে মাইকিং ও সভা-সমাবেশ। থেমে নেই সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকেও প্রচার-প্রচারণা। এদিকে নবীন না প্রবীণকে হতে যাচ্ছে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, তা নিয়ে পাড়া-মহল্লা, হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে ও মাঠ-ঘাটে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা।


এ উপজেলা দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দুইজন প্রার্থী। অপর দিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদার বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চালু করলে দলীয়ভাবে আমাকে সমর্থন দেয়া হয়। আমি দলীয় সমর্থন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। এবারের নির্বাচন যেহেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে সেহেতু আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী একজন প্রার্থী। এই দলের জন্য আমার অনেক ত্যাগ ও শ্রম আছে। আশাকরি সাধারণ মানুষ আমার শ্রম ও ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন।


আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুজ্জামান বলেন, আমি নির্বাচিত হলে তরুণ প্রজন্মের জন্য স্মার্ট হাব স্থাপন করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। এছাড়া বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবো। আওয়ামী লীগের নবীন নেতাদের পাশাপাশি প্রবীণ নেতারাও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আমি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এদিকে ভোটাররা বলছেন যারা যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করবে এমন প্রার্থীকেই তারা বেছে নিবেন।


এ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে (ঘোড়া) প্রতিক নিয়ে লড়ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ সরদার, আর (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেরা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের (টিউবওয়েল), শ্রমিকলীগ নেতা শামিম ফিরোজ (তালা) ও মোসাব্বের সরকার জিন্না (টিয়া) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।


এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম (ফুটবল) ও সাবেক ইউপি সদস্য কোহিনুর বেগম (কলস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৫ টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৫৯৬ টি আর নারী ভোটার ৭৮ হাজার ৭৫৮ টি। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার রয়েছে ১টি।


 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার