রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের ভবিষ্যৎ কী?


, আপডেট করা হয়েছে : 21-05-2024

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের ভবিষ্যৎ কী?

ক্ষমতার চূড়ার খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। এর একবারে শীর্ষে চলে যাবেন তিনি এমনটাও প্রবলভাবে মনে করা হচ্ছিল। তবে একটি নাটকীয় মোড় তার সব হিসাবনিকাশ পাল্টে দিয়েছে।


ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির স্থান কে নেবেন তা নিয়ে বাড়তে থাকা জল্পনার অবসান ঘটিয়েছে রোববার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তার মৃত্যুর ঘটনা। ৮৫ বছরের খামেনির শারীরিক অবস্থা অনেকদিন ধরেই আগ্রহের কেন্দ্রে।


ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্টের এই করুণ পরিণতিতে সে দেশের নীতি অথবা ইসলামি প্রজাতন্ত্রে কোনো গুরুতর ঝাঁকুনি দিবে তেমনটা মনে করা হচ্ছে না। তবে এই ঘটনা এমন একটা ব্যবস্থাকে পরীক্ষা করে দেখবে যেখানে রক্ষণশীল কট্টরপন্থীরা (তা সে নির্বাচিত হোক, বা অনির্বাচিত হোক) ক্ষমতার সব ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করে।


চ্যাথাম হাউস থিংক ট্যাংকের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচির পরিচালক ড. সানাম ভাকিল বলেন, এই ব্যবস্থা তার (ইব্রাহিম রাইসির) মৃত্যুকে ব্যাপকভাবে প্রদর্শন করবে এবং তার (ওই ব্যবস্থার) কার্যকারিতা দেখানোর জন্য সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে চলবে। এর পাশাপাশি এমন একজনেরও খোঁজ চালানো হবে যিনি খামেনির প্রতি আনুগত্য দেখাবেন এবং একইসঙ্গে রক্ষণশীল ঐক্য বজায় রাখতে পারবেন।


তার বিরোধীরা অবশ্য ১৯৮০-এর দশকে রাজনৈতিক বন্দিদের গণমৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে নির্ধারকের ভূমিকা পালন করার অভিযোগে অভিযুক্ত এই সাবেক প্রসিকিউটরের প্রস্থানকে স্বাগত জানাবে। যদিও রাইসি তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন।


অন্যদিকে, তার বিরোধীরা এটাও আশা করবে যে ইব্রাহিম রাইসির প্রস্থান রক্ষণশীল শাসন ব্যবস্থার অবসান ত্বরান্বিত করবে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার