সব খেলোয়াড়কেই ক্যারিয়ারে ভালো-খারাপ দুই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও দেখেছেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। যত কিছুই হোক, সৃষ্টিকর্তার ওপর সব সময় ভরসা রেখেছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
২০২৩-এর মার্চের পর মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এক রকম যতিচিহ্ন পড়ার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। জায়গা পাননি সে বছরের এশিয়া কাপেও। অক্টোবরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন দুহাত ভরে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ২০২৪ বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে শিরোপা জেতাতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতেও ধরে রেখেছেন ছন্দ।
‘সবুজ-লালের গল্প’ নামের সিরিজে বিসিবি আজ প্রকাশ করেছে মাহমুদউল্লাহর সাক্ষাৎকার। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। ক্যারিয়ারজুড়ে সংগ্রাম করে গেলেও সৃষ্টিকর্তার ওপর থেকে আস্থা হারাননি তিনি। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সংগ্রাম তো আলহামদুলিল্লাহ আমার ক্যারিয়ারজুড়েই কম বেশি ছিল। সব সময় আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করি। আল্লাহর কাছেই সব সময় আমার যা কিছু বলার আমি বলি এবং সব সময় বিশ্বাস করি, আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। আমার ভালো সময়, খারাপ সময় সবকিছুরই একটা শিক্ষণীয় বিষয় থাকে। এটা বিশ্বাস করি।’
২০২২-এর সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ব্যাটিং করতে পারছিলেন না দেখে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ হয়ে পড়েন ব্রাত্য। দেড় বছরের মতো সময় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাইরে থাকার পর এ বছর তিনি আবার সুযোগ পেলেন। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে জায়গা করে নিলেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। পুরোনো স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন ছিলাম না, তখন আমার খারাপ লেগেছিল। মনে হয়েছিল দলে আমি থাকতে পারতাম। যা-ই হোক, সেটা হয়নি। সেটার জন্য আমার কোনো কষ্ট নেই। আমি সব সময়ই আলহামদুলিল্লাহ। যেটা বলি যে দলের জন্য যতটুকু করতে পারি, সেটা আমার উপস্থিতি দিয়ে হোক বা পারফরম্যান্স দিয়ে হোক, অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক—সর্বোচ্চটা সব সময় নিংড়ে দিই।’
মাহমুদউল্লাহর কাছে পরিশ্রমই সবকিছু। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেন, ‘সেরকম পরিকল্পনা করে অত কিছু হয় না। এটা খেলতে খেলতে পরিবারের দোয়া, মানুষের দোয়া, আল্লাহর অশেষ রহমতে পরিশ্রম করার চেষ্টা করি। ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। দলকে ভালো সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের মানুষ অনেক আবেগপ্রবণ। অনেক আবেগ নিয়ে তাঁরা খেলা দেখেন। তাঁরা চান আমি ভালো করি। তো সব দিক দিয়ে বিবেচনা করে যে এত দূর আল্লাহ আমাকে নিয়ে এসেছেন। এটাই আলহামদুলিল্লাহ।’