বাগমারায় হত্যা মামলার বাদিকে হুমকির অভিযোগ


, আপডেট করা হয়েছে : 10-06-2024

বাগমারায় হত্যা মামলার বাদিকে হুমকির অভিযোগ

রাজশাহী বাগমারায় হত্যা মামলার বাদিকে হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদির পরিবার। বাগমারা উপজেলার বাঙ্গালপাড়ার চাঞ্চল্যকর আসাদুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদি তার বড় ভাই নজরুল ইসলামকে আসামী পক্ষ থেকে এ হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।


মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সামনের রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশি সাইদুল ইসলামের সাথে আসাদুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২০২৩ সালের ৮ মে রাত সাড়ে ৯টায় স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য ময়েজ উদ্দিন বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার জন্য দুপক্ষকে নিয়ে বসেন।


এসময় প্রতিপক্ষ সাইদুল ইসলাম আসাদুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা ও গালাগালি করেন। এতে আসাদুল ইসলাম তাদের গালাগালি করতে নিধেষ করেন।


এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে সাইদুল ইসলাম, তার ছেলে এমরান হোসেন, সাইদুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগম আসাদুলের উপর হামলা চালায়। সাইদুল তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে আসাদুলের মাথায় কোপ দেয়। তার ছেলে এমরান ও স্ত্রী মমতাজ বেগম লোহার রড দিয়ে আসাদুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আসাদুলের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে।


আহত অবস্থায় আসাদুলকে প্রথমে নেয়া হয় বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আসাদুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ মে আসাদুল মারা যান।


এদিকে আসাদুলের উপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে বাগমারা থানায় তিনজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী করা হয় সাইদুল ইসলাম, তার স্ত্রী মততাজ বেগম ও ছেলে এমরান হোসেন। যদিও ঘটনার পর সাইদুলের পুরো পরিবার পালিয়ে যায়। এরমধ্যে সাইদুলের স্ত্রী মমতাজ বেগম পালানোর সময় গ্রামবাসি তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।


গত ৬ মাস আগে মামলার অপর দুই আসামী সাইদুল ইসলাম ও এমরান হোসেন আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। আর জামিনে রয়েছে মমতাজ বেগম। তবে মামলা তুলে নিতে সাইদুল ইসলামের জামাই মিনারুল ইসলাম বাদি নজরুল ইসলামকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।


বাদি নজরুল ইসলাম জানান, চলমান মামলা তুলে নিতে সাইদুলের জামাই মিনারুল নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এতে তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন। তিনি বলেন, আমার ভাই আসাদুলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ভায়ের সুষ্ঠু বিচার চাই। আসামীদের ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, সাইদুল ও তার পরিবারের লোকজন সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। তারা চাচ্ছে আমরা যেনো মামলা তুলেনি। মামলা তুলে না নিলে আমার পরিবারকে দেখে নেয়া হবে বলেও হুমকি ধামকি দিচ্ছে তার তার জামাই মিনারুল ইসলাম।


এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান জানান, আসাদুল হত্যা মামলার চার্জসিট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। এখন আদালত সেগুলো দেখে বিচার করবে। তিনি বলেন, বাদিকে যদি আসামী পক্ষের কেউ হুমকি ধামকি দেয়, তাহলে তারা থানায় অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার