বৈরী আবহাওয়াতেও চলবে উড়োজাহাজ


, আপডেট করা হয়েছে : 06-07-2024

বৈরী আবহাওয়াতেও চলবে উড়োজাহাজ

আরও আধুনিক হচ্ছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিগত আট দশকে টার্মিনাল ভবন, কার্গো কমপ্লেক্স, এয়ারক্রাফট পার্কিংব্যবস্থা, অত্যাধুনিক রাডার ও বডি স্ক্যানারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সাবলম্বী হয়েছে বিমানবন্দরটি। পেয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি। তবে এখানেই থেমে নেই অগ্রগতি। নতুন দুই প্রকল্প- ‘রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ এবং ‘বোর্ডিং ব্রিজ ও কানেক্টিং করিডোর নির্মাণ’ কাজও প্রায় শেষের দিকে। প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বিমানবন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়বে এবং বিমানবন্দরটি ক্যাটাগরি-২-এ উন্নিত হবে। প্রকল্প দুটি সম্পন্ন হলে খারাপ আবহাওয়ায় অবতরণ-উড্ডয়নের সক্ষমতা বাড়বে। ফলে যাত্রী ও বিমান সংস্থাগুলোর ভোগান্তি কমার পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।

শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে বর্তমানে পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বাড়ানোর পরিধি নির্ভর করে যাত্রীর চাহিদার ওপর। তবে নতুন দুই প্রকল্পের ফলে বিমান চলাচল আরো সুবিন্যস্ত ও নিরাপদ হবে বলে মনে করছেন তারা।

জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়নে দুই প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। যদিও দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে অতিরিক্ত আরও ৫৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় বেড়েছে। বর্তমানে শুধু রানওয়ের লাইটিংব্যবস্থা উন্নীতকরণের কাজ বাকি রয়েছে। এছাড়া বাকি সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার