বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর হাত ধরে অনেকেই হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার। এক দশক আগে পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীকে প্রশ্নপত্র ফাঁস সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করেছিল থানা-পুলিশ। তখন সৈয়দ আবেদ আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছিল। গত ২৪তম ব্যাচে ব্যাপকতা বাড়ে। পরে ২৫তম ব্যাচে প্রশ্নফাঁস বিষয়টি ধরা পড়ে।
রেলস্টেশনের কুলি থেকে রিকশাচালক, এর পর পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক হয়ে কোটিপতি হয়ে গেছেন সৈয়দ আবেদ আলী। নিজ এলাকায় তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত, হতে চেয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এদের মধ্যে রয়েছে আবেদ আলী এবং তার পুত্র সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।
আবেদ আলী মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বোতলা গ্রামের আব্দুর রহমান মীরের ছেলে। তারা এক বোন, তিন ভাই। বোনের স্বামী ও দুই ভাই কৃষিকাজ করেন; আবেদ আলীর বাবাও কৃষক ছিলেন।
আবেদ আলীর ছোটভাই জাবেদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, কৃষিকাজের পাশাপাশি আমি মাঝে মাঝে ইজিবাইক চালাই। আমাদের পরিবারে অভাব থাকায় বাবা মারা যাওয়ার পর মেজভাই (আবেদ আলী) ঢাকায় চলে যান। সেখানে যখন যে কাজ পেয়েছেন তাই করেছেন। এক সময় চাকরি পান পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক হিসেবে।
চাকরি পাওয়ার আগে আবেদ আলী অর্থ কষ্টে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ১৯৯৭ সালে ঢাকায় গিয়ে চানাচুর বিক্রি করছি কিছুদিন। তখন চানাচুর বিক্রির টাকা থেকে ভাইকে যতটা পারতাম সহযোগিতা করতাম।
তিনি আরও বলেন, শুনেছি, প্রশ্নফাঁস করায় আমার ভাইকে গ্রেফতার করেছে। তিনি অপরাধী হলে সাজা হোক, কিন্তু অপরাধী না হলে তাকে যেন সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয়।