মংলা বন্দরে এক বছরে রাজস্ব বেড়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ


, আপডেট করা হয়েছে : 13-07-2024

মংলা বন্দরে এক বছরে রাজস্ব বেড়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মংলার আধুনিকায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় বন্দরে বেশিসংখ্যক জাহাজ আগমনের পাশাপাশি বিদেশী রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি, কনটেইনার হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এক বছরে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৫.৬ শতাংশ।

পদ্মা সেতু ও মংলা-খুলনা রেল নেটওয়ার্কে বন্দর যুক্ত হওয়ায় উন্নত হিন্টারল্যান্ড যোগাযোগ ও অবকাঠামো সক্ষমতার সুযোগে পণ্য আমদানি-রফতানিতে এই বন্দরের ওপর ব্যবহারকারীদের নির্ভরতা দ্রুত বাড়ছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বন্দরটিতে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বেড়েছে। ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটান নিয়মিত মংলা ব্যবহার শুরু করলে জাহাজ আরো বাড়বে। কাজে আসবে বন্দরের বর্ধিত সক্ষমতা।



বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় মংলাবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে কর্মচাঞ্চলতা বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে বন্দরের রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৭ কোটি টাকা।

বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো: মাকরুজ্জামান জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দরে ৮৪০টি বিদেশী জাহাজ আনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ছয়টি বেড়ে এ অর্থবছরে মংলায় জাহাজ এসেছে ৮৪৬টি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মংলা বন্দর রাজস্ব আয় করেছে ৩১৯ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আয় ছিল ৩০২ কোটি টাকা।

বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরে কনটেইনার জাহাজ আসার সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে বেশি সুফল পাচ্ছে মংলা বন্দর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে মোট ৩১ হাজার ৪৪ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় চার হাজার ৪৬১ টিইইউজ বেশি। ওই বছর বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৫৮৩ টিইইউজ। এ ছাড়াও বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে যেখানে কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল ৯৯.০৫ লাখ টন সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয় ১০৮.৬৫ লাখ টন। দেশে মোট আমদানির ৬০ শতাংশ রিকন্ডিশন গাড়ি মংলা বন্দর দিয়ে খালাস করা হয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা বেশির ভাগ গাড়ি মংলাবন্দরের মাধ্যমে খালাস হওয়ায় বেড়েছে রাজস্ব আয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দরে মোট গাড়ি আমদানি করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৪০টি। সবমিলিয়ে বিগত বছরগুলোর তুলনায় সব সূচকেই মংলাবন্দরের অবস্থান ঊর্ধ্বমুখী।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার