বাবার মরদেহের ময়নাতদন্ত চেয়ে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন


, আপডেট করা হয়েছে : 13-07-2024

বাবার মরদেহের ময়নাতদন্ত চেয়ে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

বাবার মরদেহের ময়নাতদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন মেয়ে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আপস করার চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিকার ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মেয়ে ফরিদা আক্তার কেয়া।


শনিবার (১৩ জুলাই) রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এর আগে তার বাবা মোজাম্মেল হক ফারুককে হত্যার অভিযোগে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। প্রায় ১০ মাস পার হয়ে গেলেও এই মামলার কোনো তদন্ত হয়নি বলে দাবি করেন কেয়া।


সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা আক্তার কেয়া বলেন, আমার বাবা মোজ্জাম্মেল হক ফারুক দুটি বিয়ে করেছেন। আমি তার প্রথম ঘরের মেয়ে। বাবার দ্বিতীয় ঘরে দুটি মেয়ে আছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন হক ঝরনা বাবার চাকরি জীবনে অর্জিত সকল টাকা ও জমি আত্মসাত করে। যা আমাদের কিছুই দেয়নি। রাজশাহী নগরীর দাশপুুকুর এলাকায় ৩ কোটি টাকা মুল্যের বাড়ি, ফিক্সড ডিপোজিট ৬০ লাখ টাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জে চার বিঘা জমি ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। মোট ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেন তার দ্বিতীয় পরিবারের স্ত্রী ও সন্তান ও জামাতারা। ২২ সালের তারা এই সম্পদগুলো আত্মসাত করে।


তিনি আরও বলেন, ২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আমার বাবাকে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান তার দ্বিতীয় স্ত্রী, দুই সন্তান ও জামাতারা। তারা পাঁচজন ঢাকার একটি অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসার নামে ভর্তি করানো হয়। ওই মাসের ২৩ তারিখে এক আত্মীয়র মুখে শুনি বাবার মৃত্যুর খবর। তারা ঢাকায় বাবার মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের চাপ প্রয়োগ করা হলে রাজশাহীতে মরদেহ নিয়ে আসে। কিন্তু তারা মরদেহের দেখাকে চাচ্ছিল না। তারা প্রায় ২ ঘণ্টা মরদেহ আটকে রাখে। পরে চিকিৎসার কাগজপত্র দেখিয়ে তিনদিনের মধ্যে সমাধান করে দেওয়ার আশ^াস দেয় তারা। কিন্তু কালক্ষেপণ করে তা বছর পার করে দেয়।


তিনি বলেন, তাদের কালক্ষেপণ করার জন্য আমি বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগ এনে রাজপাড়া আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত মামলা গ্রহণ করে মরদেহের ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেন। এই মামলার তদন্ত পান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের উপপরিদর্শক শামীম আক্তার। তদন্ত কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি কোনো তদন্ত করেননি। মরদেহের ময়নাতদন্ত করার আবেদনও করেনি। উল্টো আমাকে আপস করার জন্য চাপ দিচ্ছেন তিনি। তিনি ইচ্ছা করে সময় অতিবাহিত করছেন।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম আক্তার মুঠোফোনে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি এই প্রতিবেদককে অফিসে গিয়ে কথা বলতে বলেন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার