‘শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে’


, আপডেট করা হয়েছে : 16-07-2024

‘শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে’

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নারকীয় হামলা-নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে।


মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।


কর্নেল অলি বলেন, একটি যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। 


তিনি বলেন, সোমবার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হলে ছাত্রলীগের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে নারীসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হয়। আমি এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।


অলি বলেন, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করলেও উপেক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য। এদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কারও কোনো অধিকার নেই। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দাবি-দাওয়া যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিসমূহ সরকারকে এখনই মেনে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, মেধাবী শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রের সম্পদ। তাদের হত্যা করা বা ধ্বংস করা রাষ্ট্রের কর্ম হতে পারে না। 


তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের অর্থ্যাৎ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান অঙ্গীকার ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণ করা। সাংবিধানিকভাবে ও আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিক সমান। আমি রণাঙ্গনের একজন বীর বিক্রম হিসাবে বলব- সন্তানদের চাকরির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করি নাই; বৈষম্য দূরীকরণের জন্যই আমরা দেশ স্বাধীন করেছি।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার