রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে পিস্তল, সাধারণ সম্পাদকের লকারে মদের বোতল


নিজস্ব প্রতিবেদক : , আপডেট করা হয়েছে : 17-07-2024

রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে পিস্তল, সাধারণ সম্পাদকের লকারে মদের বোতল

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কক্ষে ভাঙচুর চালানোর সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির কক্ষের লকারে দুটি পিস্তল ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে ১৫ থেকে ২০টি খালি ফেনসিডিলের বোতল দেখতে পান।

এছাড়াও একাধিক কক্ষে দেশীয় অস্ত্রও দেখতে পান আন্দোলনকারীরা। এ খবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেয়া হলে তারা পুলিশের মাধ্যমে তা জব্দ করে।  
দেশীয় অস্ত্রগুলো জব্দ করা হলেও কক্ষে পিস্তল পাওয়া যায়নি বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।
সরেজমিনে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর কক্ষের লকারে দুটি পিস্তল, তার ব্যক্তিগত পাসপোর্ট ও কয়েকটি মদের বোতল দেখা যায়। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের কক্ষে ১৫ থেকে ২০ টি ফেনসিডিলের খালি বোতল দেখা যায়।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা প্রথম দফায় হামলার সময় আমার রুমে অস্ত্র রেখে গিয়েছে। দ্বিতীয়বার হামলার সময় সে অস্ত্র সাংবাদিকদের ডেকে দেখিয়েছে। এই অস্ত্রগুলো আমার নয়। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন হলে হলে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুমে ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের। নেতাকর্মীদের সার্টিফিকেট জ্বালিয়ে দিয়েছে। এটি পরিকল্পিত হামলা ছিল। যারা হামলা করেছে তারা শিক্ষার্থী নয়, তারা বিএনপি জামাতের জঙ্গি।’
 
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর রুমে কখনোই মাদক কিংবা অস্ত্র থাকে না। আন্দোলনকারীরা এগুলো আমাদের রুমে রেখেছে। তারা হলে হলে গিয়ে তান্ডব চালিয়েছে। বিএনপি জামাতের প্রেতাত্মারা যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তার জবাব রাজপথে দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘দেশীয় অস্ত্রগুলো শিক্ষার্থীরা আমাদের হাতে তুলে দেয়, তা আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। তবে, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির কক্ষে কোনো পিস্তল আমরা পাইনি।’


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার