কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতা ও নাশকতা করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। নির্বিচারে হামলা করেছে পুলিশ, র্যাব-আনসার ও বিজিবি সদস্যদের ওপর। তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ। গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা তিন দিন ঢাকাসহ সারা দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে জ্বলেছে— বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, মহাখালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ভবন, সেতুভবন, বনশ্রীর পিবিআই কার্যালয়, মহাখালী ডাটা সেন্টার, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভবন, মিরপুর ফুটওভার ব্রিজ, ফিলিং স্টেশন, নারায়ণগঞ্জ আনসার ক্যাম্প, ওয়াসা ভবন, নরসিংদীর মাধবী থানা, কিশোরগঞ্জে ট্রেনের বগিসহ বহু সরকারি-বেসরকারি ভবন। তারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে সরকারি-বেসরকারি শত শত পরিবহণ। শুধু শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের জালকুড়িতে অবস্থিত শীতল পরিবহণের ডিপোতে রাখা ২৬টি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ছাড়া ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশন, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, বগুড়া, রাজশাহী, কিশোরগঞ্জসহ দেশের প্রায় সব জেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে বিনা উসকানিতে এই রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা। এ হামলার সুযোগে আট শতাধিক কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে।