ইন্টারনেট বন্ধ ১০ দিন, লেনদেন কমেছে ৭০ শতাংশ


, আপডেট করা হয়েছে : 29-07-2024

ইন্টারনেট বন্ধ ১০ দিন, লেনদেন কমেছে ৭০ শতাংশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ায় ডিজিটাল লেনদেনে ভাটা পড়েছে। বিশেষ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়া ইন্টারনেটভিত্তিক অন্যান্য লেনদেনও কমেছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। তবে ১০ দিন পর রোববার বিকালে মোবাইলে ফোর জি ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ায় নতুন করে আশা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগদের হেড অব পিআর জাহিদুল ইসলাম সজল যুগান্তরকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও নগদের লেনদেন বিশেষ ব্যবস্থায় চালু ছিল। যেহেতু পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ ছিল তাই তখন লেনদেন কমে ২০-৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। এমনকি অনেকের লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছিল, তবে নগদের তেমনটি হয়নি। রোববার মোবাইলে ফোর জি ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে সরকার। আশা করছি লেনদেন এবার আগের মতোই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। বিকাশের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম যুগান্তরকে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিকল্প পদ্ধতিতে বিকাশের লেনদেন চালু ছিল। তবে ইন্টারনেট না থাকায় বড় কোনো লেনদেন হয়নি। এটা খুব স্বাভাবিক। এ লেনদেনটাই ইন্টারনেট ভিত্তিক। সুতরাং ইন্টারনেট না থাকায় যা হওয়ার তাই হয়েছে। তবে জরুরি লেনদেন চালু ছিল। এখন ইন্টারনেট চালু হয়েছে। আশা করছি, মোবাইলে লেনদেন আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে গত ১৬ জুন মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুন রাত ৮টার দিকে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। এতে দেশের ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের লেনদেনে ভয়াবহ পতন ঘটে। পাশাপাশি কমেছে এটিএম বুথ লেনদেন, পিওএস, কিউআর কোড ও ই-কমার্স লেনদেনও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৮ থেকে ২৩ জুলাই দেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে মোট ১ লাখ ৪ হাজার ২২৬ বার ট্রানজেকশন করেছে গ্রাহকরা। এসব ট্রানজেকশনে ৬৭৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের ৩ দিনেই অর্থাৎ ১১ থেকে ১৩ জুলাই এই লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গড় লেনদেন ছিল ৬৪৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার