আমার বুকের মানিকের অভাব কে পূরণ করবে: মামুনের বাবার আহাজারি


, আপডেট করা হয়েছে : 29-07-2024

আমার বুকের মানিকের অভাব কে পূরণ করবে: মামুনের বাবার আহাজারি

পরিবারের অভাব দূর ও উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন মামুন (২৫)। পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নপূরণে চাকরি নিয়ে ২২ আগস্ট মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজে যাওয়ার কথা ছিল তার।

১৮ জুলাই দিবাগত রাত ২টার দিকে রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মামুন। বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে নিয়ে যান। ১৯ জুলাই বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই দিনই গ্রামে এসে বাবাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু তিনি বাড়িতে ফিরলেন তবে লাশ হয়ে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম। তার বাবা আহাজারি করে বলছেন- এখন আমার বুকের মানিকের অভাব কে পূরণ করবে?

মামুন শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চরচিকন্দি গ্রামের আবদুল গনি মাদবরের ছেলে। তিনি ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গ্রামের আবদুল কাইউম, মিজানুর রহমান, ছায়েদ ঢালী জানান, চরচিকন্দি গ্রামের গনি মাদবর ও হেনা বেগম দম্পতির চার ছেলে। কৃষিকাজ করে পরিবারটি চলে। ছয় মাস আগে বড় ছেলে নুরুজ্জামান শ্রমিকের কাজ নিয়ে সৌদি আরবে যান। দুই ছেলে কালু ও রুবেল মাদবর গাজীপুরে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ছোট ছেলে মামুন মিয়া পড়ালেখা করতেন।

স্থানীয় শৌলপাড়া মনর খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও শরীয়তপুর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন মামুন। পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন। ঢাকার রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার