সহকর্মী হত্যার বিচারসহ ১১ দফা দাবিতে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ


, আপডেট করা হয়েছে : 08-08-2024

সহকর্মী হত্যার বিচারসহ ১১ দফা দাবিতে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ

দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহকর্মীদের হত্যার বিচারসহ ১১ দফা দাবিতে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ হয়েছে যশোরে।


বুধবার বিকালে যশোর পুলিশ লাইন্সের সামনে অধস্তন নারী ও পুরুষ সদস্যরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের হাতে লেখা পোস্টার বহন করতে দেখা যায়।


তখন হ্যান্ডমাইক নিয়ে ‘হৈ হৈ রৈ রৈ বিসিএস গেল কই?/ আমার ভাই মরল কেন বিচার চাই বিচার চাই’ এমন স্লোগান দেন তারা।


তারা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের যে আদেশ দেন তা তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে তাদের প্রাণ পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। অথচ আদেশ দেওয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গায়ে আঁচড়ও লাগে না।


এ ছাড়া চাকরি করতে এসে তারা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য পাওনা থেকে। তারা আজ বাধ্য হয়ে ১১ দফা দাবিতে মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে অন্যতম দাবি, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব পুলিশ সদস্যের হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।


এদিকে, বিক্ষোভের খবর পেয়ে দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা চালান।


বিক্ষুব্ধরা কিছুটা শান্ত হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বিশ্বাস করে পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়ে ছিলেন। আমরা আজ সেই বিশ্বাসের পুলিশ হতে চাই। আমরা পুলিশের মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।”


তিনি আরও বলেন, “আমাদের কিছু পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।”


অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কথা শেষ হতে না হতে পুলিশ সদস্যরা ফের তাদের দাবিগুলো নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন।


জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম সেখানে গিয়ে তাদের দাবি যৌক্তিক বলে আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাহিনীর সদস্যরা নিবৃত্ত হন।


পরে এসপি সবাইকে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে মিলনায়তনে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের কথা শোনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।


পুলিশ সদস্যরা তার কথায় সায় দিয়ে মিলনায়তনে যান।


সেখানে পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, “স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা অনেক পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”পৃথিবীর কোথাও এভাবে পুলিশ হত্যার নজির নেই দাবি করে তিনি প্রতিটি সদস্যের হত্যার বিচার চান।

তিনি বলেন, “নিহতদের পরিবারের সদস্যরা তাকিয়ে আছেন স্বজন হত্যার বিচারের দাবিতে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসপি জানান, পুলিশ ছাড়াও আর যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের হত্যার বিচারও চান। প্রতিটি হত্যারই বিচার চান তিনি।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার