বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা: ডম্বুর-ফারাক্কা বাঁধে কী ঘটছে?


, আপডেট করা হয়েছে : 23-08-2024

বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা: ডম্বুর-ফারাক্কা বাঁধে কী ঘটছে?

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় গত তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেখানকার সরকার। রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেছেন আগস্ট মাসে যা বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা স্বাভাবিকের থেকে ১৫১ শতাংশ বেশি। এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে। তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন সাতজন।


প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ সেখানে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় জানিয়েছে রাজ্য সরকার। গত চারদিন ধরে প্রায় অবিরাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেখানে।


শুধুমাত্র গোমতী জেলায়, যে এলাকাতেই অবস্থিত গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধীন ডম্বুর জলাধার, সেই জেলায় আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ১৯৬.৫ মিলিমিটার। অথচ সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৬৫৬.৬ মিলিমিটার, যা ২৩৪ শতাংশ বেশি বলে তথ্য দিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ।


রাজধানী আগরতলাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের তলায়। হাওড়া, খোয়াই, মুহুরী ও ঢলাই সহ রাজ্যের প্রায় সব নদীই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।


ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর রাজ্যের তিনটি জেলায় লাল সতর্কতা ও বাকিগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে।


ডম্বুর বাঁধে কী হয়েছে?


এই বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেসব জেলা, তার মধ্যে আছে গোমতী। গোমতী জেলাতেই গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডম্বুর স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক বন্যা হয়েছে বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের অধীন ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি।


দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন, “যে প্রচারটা করা হচ্ছে ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া নিয়ে, সেটা অপপ্রচার ছাড়া কিছু না।”


“গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনও গেট খুলে দেওয়া হয়নি। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারটির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। জলস্তরের বেশি উঠলেই নিজের থেকেই জল গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। জলস্তর আবার নিচে নেমে গেলে নিজের থেকেই গেট বন্ধ হয়ে যাবে। জলস্তর সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে যেতেই জলাধারের দুটি গেট দিয়ে জল বেরোচ্ছে। এর মধ্যে একটি গেট দিয়ে ৫০ শতাংশ হারে জল বেরোচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আগে থেকেই মাইকিং করে সতর্ক থাকার অনুরোধও জানানো হয়েছিল” বিবিসিকে বলছিলেন রতন লাল নাথ। গত তিন দশকে এরকম বন্যা ত্রিপুরায় হয়নি বলেও জানান তিনি।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার