‘ভ্যানে লাশের স্তূপ, ভয়ঙ্কর ভিডিও, একটি অনুসন্ধান’


, আপডেট করা হয়েছে : 01-09-2024

‘ভ্যানে লাশের স্তূপ, ভয়ঙ্কর ভিডিও, একটি অনুসন্ধান’

‘ভ্যানে লাশের স্তূপ, ভয়ঙ্কর ভিডিও, একটি অনুসন্ধান’। খবরে বলা হয়েছে, ভ্যানে লাশের স্তূপ সাজানোর ১৪ সেকেন্ডের যে ভিডিওটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, সেটি গত পাঁচই অগাস্ট তারিখে সাভারের আশুলিয়া বাইপাইল এলাকার একটি ঘটনা বলে অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে মানবজমিন।


গত পাঁচই অগাস্ট দুপুরে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পরে বাইপাইল এলাকায় বিজয় মিছিল বের হয়।


মিছিল শেষে বিকালে উত্তেজিত জনতা আশুলিয়া থানা ঘেরাও করে। তারা থানা ভবনে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। কেউ কেউ গেট ভাঙতে এগিয়ে যান।


এক পর্যায়ে পুলিশ ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই অনেকে নিহত হন।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেদিন থানার পাশেই ইসলাম পলিমারস অ্যান্ড প্লাস্টিসাইজারস লিমিটেডের অফিসার ফ্যামিলি কোয়ার্টারের দেয়াল ঘেঁষে গুলিবিদ্ধ সাতজনের মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল।


পুলিশ মরদেহগুলো একত্রিত করে ভ্যানের উপর স্তূপ করে রাখে, যা ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে।


পরে মরদেহগুলোতে আগুন দেওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে মানবজমিনকে জানিয়েছে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


একই ঘটনা নিয়ে প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়, ‘বীভৎস, লোমহর্ষক’।


খবরে বলা হয়েছে যে, ভ্যানে লাশের স্তূপ সাজানোর ভাইরাল ভিডিওটি সাভারের আশুলিয়ার। এতে আরও বলা হয়েছে যে, গত পাঁচই অগাস্ট বিকেলে ছাত্র-জনতা আশুলিয়া থানা ঘেরাও করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ আহমেদ বাইরের উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।


তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে।


ছাত্র-জনতা পুলিশকে আত্মসমর্পণ করতে বললে মি. আহমেদ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমরা হেরেছি। আপনারা জিতেছেন। আমাদের মাফ করে দেন। সবাই বাড়ি ফিরে যান।”


কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরেনি। পরে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই অনেকে নিহত হয়। পুলিশ এরপর মরদেহগুলো সংগ্রহ করলেও, তাতে তারা আগুন দেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


বলা হয়েছে যে, সংগ্রহের পর তারা মরদেহগুলো থানায় পার্ক করা একটি পিকআপ ভ্যানে রেখেছিল, যেটিতে বিক্ষুব্ধ মানুষ আগুন দিয়েছিল।


পহেলা সেপ্টেম্বরের পত্রিকার খবর

‘অর্থ-ক্ষমতা-প্লট-প্রাইজ পোস্টিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল কর্তৃত্ববাদী শাসন’- দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি।


খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে একচ্ছত্র আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রশাসন কর্মকর্তাদের নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ব্যবহার করেছে।


রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমলাদের পাশাপাশি চলে যায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। এজন্য পুরস্কার বা টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অর্থ, ক্ষমতা, প্লট ও প্রাইজ পোস্টিং।


এমনকি নারীদেরও অনৈতিকভাবে কাজে লাগানোরও নজির রয়েছে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।


এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশে কায়েম হয়েছে এক ধরনের ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা, যা পুরোপুরি কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছিল শেখ হাসিনার ক্ষমতা বলয়ে। একই সঙ্গে বিএনপিসহ প্রধান বিরোধী দলগুলোকে যেতে হয়েছে ব্যাপক দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে।


বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।


পত্রিকা

‘আগে সংস্কার পরে নির্বাচন’- দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়েছে যে, শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় পার্টি, গণফোরামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ‘যৌক্তিক’ সময়ের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতারা।


তারা বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এটা অন্তর্র্বতী সরকারের জন্যও ভালো, রাজনৈতিক দলের জন্যও ভালো, দেশের জন্যও ভালো।


তবে সংস্কার করার আগে নির্বাচন কোনো অবস্থাতে বাঞ্ছনীয় নয়। তাই আগে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।


রাজনৈতিক দলের মতামত ও প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী বলেছেন জানতে চাইলে নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এটাই বলেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে প্রত্যেকটা বিষয়ে।


খবরে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকে একেক দল একেক ধরনের দাবি তুললেও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন নেতারা। 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার