ছাত্র পরিচয় দিতেই রোগীর স্বজনকে পেটালেন আনসার সদস্যরা


, আপডেট করা হয়েছে : 03-09-2024

ছাত্র পরিচয় দিতেই রোগীর স্বজনকে পেটালেন আনসার সদস্যরা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ছাত্র পরিচয় দেওয়ার পর আনসার সদস্যরা এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রকে তিনজন আনসার সদস্য মিলে মারধর করেন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জরুরি বিভাগের পাশে এই ঘটনা ঘটে।


এ ঘটনায় উজ্জ্বল হোসেন নামের এক আনসার সদস্যকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরও দুজন আনসার সদস্যের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মেদ। 


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম একলাস আলী। তিনি রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে। আনসার সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে তিনি হাসপাতাল পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।


অভিযোগে তিনি বলেন, তার মামা আমিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২০ জুলাই মামাকে ওয়ার্ড থেকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে হয়। এ জন্য আনসার সদস্যদের কাছে থাকা হাসপাতালেরই একটি ট্রলি নিয়ে যান। নির্ধারিত সময়ের বেশিক্ষণ ট্রলি রাখার কারণে একলাসের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেন তারা।


সোমবার আমিরুল ইসলামকে অন্য আরেকটি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসকরা। তাই ওয়ার্ডের নার্সরা একলাসকে ট্রলি আনতে বলেন। তখন একলাস অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা নার্সদের জানান। এ সময় যে আনসার সদস্য অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন তার ছবি তুলে আনার পরামর্শ দেন দায়িত্বরত নার্স। দুপুরে একলাস আনসার স্টেশনে গিয়ে ওই আনসার সদস্যের ছবি তুলছিলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে আনসার সদস্যরা তাকে ধরেন এবং মোবাইল জব্দ করে ছবি ডিলিট করে ফেলেন।


অভিযোগে আরও বলা হয়, আনসার সদস্যরা একলাসের পরিচয় জানতে চান। তিনি ছাত্র পরিচয় দেন। এই পরিচয় জানার পরই আনসার সদস্যরা ছাত্রদের কটাক্ষ করে অশ্লীল ভাষায় গালি দেন। পরে তিনজন আনসার সদস্য তাকে মারধর করেন। পরে এক সহকারী প্লাটুন কমান্ডার একলাসকে রক্ষা করেন। বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে বলেন তিনি।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার