রাজশাহীতে আন্দোলনরত ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে


, আপডেট করা হয়েছে : 08-09-2024

রাজশাহীতে আন্দোলনরত ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলন করছে রাজশাহী অঞ্চলের নার্সিং কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্দোলনরত ১১ জন নারী শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ও হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, নার্সিংয়ের ১১ নারী শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তীব্র রোদের মধ্যে থাকায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।


এর আগে বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষার দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে তারা নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে ‘প্রতীকী পরীক্ষা’ দিয়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন তারা। পরে বেলা পৌনে ১টার দিকে ‘প্রতীকী বিষপান কর্মসূচি’ পালন করেন। প্রখর রোদের কারণে এ সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। 


জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের ২৩টি নার্সিং কলেজ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত। এর মধ্যে চারটি সরকারি নার্সিং কলেজ। 


শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা ও ফলাফল না হলে তারা ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ করতে এবং আগামী বছরের মার্চে অনুষ্ঠিতব্য নার্সিং নিবন্ধন পরীক্ষায় দিতে পারবে না। তবে তাদের ক্লাস ও মধ্যবর্তী পরীক্ষা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। গত ৩ জুলাইয়ে আন্দোলন করে পরীক্ষার রুটিন পেয়েছিলেন। সে অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর রামেবি উপাচার্য পরীক্ষা স্থগিত ও পরে তিনি পদত্যাগ করেন। এর আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদত্যাগ করেন। ফলে তারা সেশনজটে পড়েন।


আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক রায়হান আলী বলেন, তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার দাবি করছেন। পরীক্ষা সহ ৭ দফা দাবির কথা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো আশ্বাস পাননি। 


রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। 


তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দ্রুত শেষ হবে। পরীক্ষাটা কয়েক দিন পেছাতে পারে। আজকের মধ্যে রামেবির নতুন উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে বলেও জানান তিনি। 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার