১৬ বছর পর ১৫ লাখ কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নিচ্ছে সরকার


, আপডেট করা হয়েছে : 23-09-2024

১৬ বছর পর ১৫ লাখ কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নিচ্ছে সরকার

প্রায় ১৬ বছর পর ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নিচ্ছে সরকার। চলতি বছর থেকেই প্রত্যেককে সম্পদবিবরণী দাখিল করতে হবে। এবার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ক্যাডারভুক্ত কর্মচারীরা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সম্পদবিবরণী দাখিল করবেন। নন-ক্যাডার কর্মচারীরা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদবিবরণী জমা দেবেন। আগামী বছর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদবিবরণী দাখিল করতে হবে। সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯-এর বিধান বলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সম্পদবিবরণী দাখিলের বিধান থাকলেও নতুন করে তা প্রতিবছর জমা দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যেসব কর্মচারী সম্পদবিবরণী দাখিল করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে লঘুদণ্ড এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে গুরুদণ্ড আরোপ করা হবে।


রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মচারীদের সম্পদবিবরণী দাখিল সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, আগে পাঁচ বছর অন্তর সম্পদবিবরণী দাখিল করতে হতো। এখন থেকে প্রতিবছর দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হলো। সিলগালা খামে নিয়ম অনুসারে কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ সম্পদবিবরণী জমা না দিলে তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ বিধান সব কর্মচারীর জন্য সমভাবে প্রযোজ্য হবে। তবে সম্পদবিবরণী অত্যন্ত গোপনীয় বিধায় তথ্য অধিকার আইনেও এ বিষয়ে কিছু চাওয়া যাবে না। তবে আদালতের আদেশ বা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে তা প্রকাশ করা যাবে। আমি আশাবাদী, দুর্নীতির লাগাম টানতে এ উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার