ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর অবস্থান কয়েক মাস ধরেই জানতো ইসরায়েল। দেশটির তিনজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইসরায়েলি রিপোর্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাসরুল্লাহকে হত্যার জন্য অভিযান চালাতে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করা হয়নি।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অভিযানের এই সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয় তখন লেবাননে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসরায়েলের নেতাদের আলোচনা চলছিল। এ ছাড়া এরপর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে যান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
দুইজন কর্মকর্তা বলেছেন, লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে এই অভিযানে ৮০টির বেশি বোমা ফেলা হয়। এতে ছয়টি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার চালানো এ হামলায় প্রথমদিকে ইসরায়েলি বাহিনী হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের খবর নিশ্চিত করলেও হিজবুল্লাহ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না।
তবে শেষমেশ শনিবার সকালে হিজবুল্লাহ নাসরুল্লাহর নিহতের খবর নিশ্চিত করে। এ ছাড়া এই হামলায় গোষ্ঠীটির দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলী কারাকিও নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফট্যানেন্ট জেনারেল হারজি হালেভি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এখানে বার্তা খুব পরিষ্কার। ইসরায়েলি নাগরিকদের যারা হুমকি দেবে তাদের কীভাবে খুঁজে বের করতে হয় সেটা আমরা জানি। সেটা উত্তরে, দক্ষিণে কিংবা আরও দূরে হলেও আমরা খুঁজে পাবো।