ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে হত্যার ঘটনায় চাকরিচ্যুতদের পূণর্বহাল, কারাবন্দিদের মুক্তি ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন হয়েছে। রোববার দুপুরে শহরের মুক্তির মোড়ে সামনের সড়কে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ নওগাঁ জেলা শাখার ব্যানারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা ও পরিবারের স্বজনেরা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও তার দোসরদের চক্রান্তে বিডিআর বিদ্রোহের নাটক সাজানো হয়। সেনা অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যার পর নির্দোষ সৈনিকদের চাকরিচ্যুত ও সাজা দিয়ে লোক দেখানো তদন্তের নামে ঘটনার ধামাচাপা দেয়া হয়। চাকরিচ্যুতির পর বিডিআর সদস্যরা পরিবার নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
কারাবন্দী বিডিআর সদস্যর সন্তান রেজোয়ান বলেন আমি মাতৃ গর্ভকালীন থাকা অবস্থায় আমার, বাবাকে গ্রেফতার করা হয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে। কিন্তু আমার বাবা এর সাথে জড়িত ছিলো না। বিগত ১৬ বছর আমি আমার বাবার কোলে উঠতে পারিনি। আদরও স্নেহ থেকে বঞ্চিত। আমার বাবাসহ যারা এখনো জেল খানায় বন্দী আছেন তাদের দ্রুত মুক্তি করে দেয়ার দাবি জানাই।
চাকরিচ্যুত আরেক বিডিআর সদস্যর মেয়ে সানজিদা বলেন, আমার বাবা কোন অপরাধ করে নাই। তারপরও আমার বাবাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমাদের একটাই দাবি আমার বাবার মতো যারা কোন অপরাধ না করেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুনরায় চাকরি দেওয়া হোক এবং যারা এসব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করে শস্তির আওতায় আনা হোক।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বিডিআর সদস্য দুলাল হোসেন, সোহরাব হোসেন, কারাবন্দী বিডিআর সদস্য জাহঙ্গীরে স্ত্রী রেশমী বানু, কারাবন্দী বিডিআর সদস্যর সন্তান রেজোয়ান, মৃত বিডিআর সদস্যর সন্তান মোহায়মেনুল হক, চাকরি চ্যুত নায়েক সুবেদার সামাদ শাহানা, বগুড়া জেলার জিয়াউল হক, কারাবন্দী আবু হানিফের মেয়ে বিবি হাওয়া, কারাবন্দী বিডিআর সদস্যর ভাই মাসুদ রানা প্রমুখ।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।