শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃত্যু বেড়ে ৫


, আপডেট করা হয়েছে : 06-10-2024

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃত্যু বেড়ে ৫

টানা প্রবল বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ’৮৮-এর বন্যার চেয়েও এবার ভয়াবহ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। 


রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় বন্যার্তরা দুর্ভোগে পড়েছেন। 


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং চেল্লাখালী নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ১৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 


উজানের ঢলের পানি নেমে আসা অব্যাহত থাকায় শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখনো শেরপুরের ৫ উপজেলার কমপক্ষে শতাধিক গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ তলিয়ে রয়েছে। অসংখ্য বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে মাছের খামার থেকে কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ায় খামারিরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। 


গত শুক্রবার রাতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বের হয়ে বন্যার পানিতে নিখোঁজ হওয়া নালিতাবাড়ী উপজেলার অভয়নগর গ্রামের বাছির উদ্দিনের দুই ছেলে আবু হাতেম (৩০) ও আলমগীরের (১৭) লাশ শনিবার ওই এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বাতকুচি গ্রামের আব্দুল হাকিমের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৪৫)। এ ছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধ্যাকুড়া এলাকায় বন্যার পানিতে ভেসে এসেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অজ্ঞাত এক নারীর গলিত লাশ। 


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার