বিদেশ থেকে কম দামে এলপিজি আনলেও বেশি দামে বিক্রি করছে কয়েকটি কোম্পানি। শুধু তাই নয়, ইরাকের কথা বলে ইরান থেকে এই জ্বালানি আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত ৮ মাসে এই প্রক্রিয়ায় ২২শ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ইরানি দুটি জাহাজে এলপিজি আমদানি করা হয়। জানা গেছে, চট্টগ্রামের একটি শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুকৌশলে ইরান থেকে অবৈধভাবে দুই জাহাজে এলপিজি আমদানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলপিজি অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব) এই অভিযোগ তুলেছে। সম্প্রতি নৌপরিবহণ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবরে এই অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচ সদস্যের একটি টিম জাহাজ দুটি পরিদর্শনও করেছে। লোয়াবের অভিযোগ-সংঘবদ্ধ একটি চক্র গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত দুই লাখ ৫৬ হাজার ২৫২ টন এলপিজি নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রাষ্ট্র থেকে অবৈধভাবে আমদানি করেছে। এর মাধ্যমে ১৭৫ মিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ওই বহুল বিতর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে অবৈধ এলপিজি আমদানিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। ইতঃপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়গুলো জানানো হলেও পাত্তা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
জাহাজ দুটির নাম উল্লেখ করে এলপিজি অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব) অভিযোগ করে, চট্টগ্রামের ওই গ্রুপের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রাষ্ট্র ইরান থেকে অবৈধভাবে এলপিজি আমদানি করে বাজারজাত করছে। ইরান থেকে আমদানি করা এলপিজি প্রথমে ইরাকে পাঠানো হচ্ছে এবং পরবর্তী সময়ে ইরাকি বন্দর থেকে পণ্য লোডের তথ্য প্রদর্শন করে বাংলাদেশে আমদানি করছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জিওয়াইএমএম নামের একটি জাহাজকে এই অবৈধ আমদানির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।