টাইগারদের ইতিহাস গড়ার পথে বাধা মহারাজরা


, আপডেট করা হয়েছে : 21-10-2024

টাইগারদের ইতিহাস গড়ার পথে বাধা মহারাজরা

এক এক করে ১৪টি টেস্ট খেলা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। একটিতেও জয় তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠ মিরপুরে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি টাইগারবাহিনী। প্রথম জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়ার সুযোগ নাজমুল হোসেন শান্তদের সামনে।


কিন্তু সেখানেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার জন্য রয়েছেন কেশভ মহারাজরা। শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিনসহায়ক। পরিসংখ্যান অন্তত এমনটিই বলছে। এই টেস্টের উইকেটও তেমন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মিরপুর থেকে এখন পর্যন্ত বেশি সুবিধা আদায় করেছেন ঘূর্ণি বোলাররা। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার খেলা হচ্ছে না মিরপুর টেস্টে। দলে থেকেও তিনি বাদ পড়েছেন দেশে ফিরতে না পারায়।


সাকিবের পরেই মিরপুরে সফল বোলার হিসেবে সামনে রয়েছেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজরা। এই তিন স্পিনার এতটাই সফল যে, তাদের ধারেকাছেও কেউ নেই। স্কোয়াডে থাকা নাঈম হাসানও বেশ এগিয়ে। এই তালিকায় পেসারদের অবস্থান কিছুটা পরেই। বর্তমানে মিরাজ ভালো গড়ে এগিয়ে। ডানহাতি এই অফব্রেক বোলার প্রতিটি ১৯ বলে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এমন পরিসংখ্যানে চোখ রেখেই দল গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে প্রোটিয়াদের স্পিনাররা। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ হেরেছে ভারতের বিপক্ষে। শুধু হার নয়, ধবলধোলাই হয়েছেন শান্তরা।


ঘরের মাটিতে সেই ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য তাদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জয়টাও এসেছে। এবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জিতলে আরো একবার ইতিহাস গড়া হবে। সেই পথে মূল বাধা বাঁহাতি অর্থোডক্স বোলার কেশভ মহারাজ। আজ মাঠে নামার আগে কঠিন অনুশীলন করেছেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে তারকা এই স্পিনারের সফলতা ঈর্ষণীয়। সাদা পোশাকে ৪ ম্যাচ খেলে ২৪ উইকেট দখল করেছেন। তাতে গড়ে ১৫টি বলেরও কম খরচ করে একটি উইকেট তুলে নিয়েছেন। এরপরে যোগ হবে মিরপুরের স্পিনসহায়ক উইকেট।


সবমিলিয়ে সুবিধা আদায় করে নিতে প্রস্তুত তিনি। মহারাজের পরেই রয়েছেন ডানহাতি স্পিনার ডেন পিট। বাংলাদেশের বিপক্ষে এখনো খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি ৩৪ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারের। গেল ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। এবার টাইগারদের পরীক্ষা নেবেন। এই দুই স্পিনারের পাশাপাশি চোখ থাকবে সেনুরাম মুতুসামি, এইডেন মার্করামদেরও ওপরে। খণ্ডকালীন বোলার হিসেবে মাঝেমধ্যে দুই-একবার দেখা মেলে মার্করামের। মিরপুরে নামার আগে বল হাতে নিজেকে দেখেও নিয়েছেন। তবে মূল লড়াইয়ে থাকবেন মহারাজ। তাকে সামলাতে পারলেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা আরো একবার ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।


এদিকে কেবল স্পিনার নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার রয়েছেন তারকাবহুল পেস আক্রমণও। লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদারা রয়েছেন সেই তালিকায়। একদিকে তাদের পেস অন্যদিকে মহারাজদের ঘূর্ণি, এই দুটি দিকে সফল হতে পারলে মিরপুরে দেখা যাবে আরো এক ইতিহাস। এখন পর্যন্ত ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। গেল সিরিজে ভারতের বিপক্ষে নাকানিচুবানি খেয়ে এসেছেন শান্তরা। এবার দেশের মাটিতে তেমন তেতো স্বাদের ধারাবাহিকতা নিশ্চয়ই তারা চান না। সেজন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররাই হবে বাংলাদেশের মূল প্রতিপক্ষ। আবার দলটির ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স এর আগে বাংলাদেশের দায়িত্বও পালন করেছেন। তাতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দুর্বলতা সম্পর্কে তিনি জানেন। এই বিষয়টিও স্বাগতিকদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকবে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার