দেশের গুণী ও বয়োজ্যেষ্ঠ অভিনেতা অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন। আজ বিকেল ৪টা ২০ মিনেটে রাজধানীর গ্রীন রোডের তার বাসায় মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। তিনি জানান, তিনি অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হতো।
তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
মাসুদ আলী খানের দাফন কোথায় ও কখন হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তার দীর্ঘদিনের সহকারী রবিন মণ্ডল ও অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি নাসিম। রবিন গণমাধ্যমে বলেন, ‘অভিনেতার এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। আগামী ১৩ নভেম্বর তার দেশে আসার কথা।
এখন তিনি কখন বা কবে আসবেন, সেটা জানি না। তার সিদ্ধান্তের ওপরই সব নির্ভর করছে। তবে তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে। মনে হয় সেখানেই দাফন করা হবে তাকে।
’
পরে নাসিম জানান, অভিনেতাকে তার গ্রামের বাড়িতেই দাফন করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে আছেন গুণী অভিনেতা মাসুদ আলী খান। বয়সের ভারে ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারতেন না এই অভিনেতা। হুইল চেয়ারই ছিল তার ভরসা। এ কারণে বেশির ভাগ সময় ঘরের ভেতরেই কাটাতে হতো মাসুদ আলী খানকে।
১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।