দুদকের সাংবিধানিক মর্যাদা জরুরি


, আপডেট করা হয়েছে : 01-11-2024

দুদকের সাংবিধানিক মর্যাদা জরুরি

দুর্নীতিসংশ্লিষ্ট অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনার জন্য ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর (প্রায় ২০ বছর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করা হয়। সেই থেকে দেশের দুর্নীতি দমনের জন্য গঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারের আজ্ঞাবহ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।


তবে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাসহ বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জেলে পাঠানো হয়। অনেকের সাজাও হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।


পালটে যায় অনেক কিছু। থমকে যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান। এমনকি ভাটা পড়ে দুর্নীতির অনুসন্ধান-তদন্ত এবং বিচারেও। সেই থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা সাড়ে ১৫ বছর দেশ এককভাবে দলটির শাসনকালে বিরোধী দলের নেতাকর্মী-জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল দুদক।


অন্যদিকে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতার লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অনুসন্ধান-তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ছিল ‘নীরব দর্শক’-এর ভূমিকায়। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের নেতা এবং দলটির আশীর্বাদপুষ্ট প্রভাবশালীদের বিরদ্ধে ‘ওয়ান-ইলেভেন’-এর সময় করা সব মামলা থেকে ‘দায়মুক্তির সনদ’ বা ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ দেওয়া হয়েছে নির্বিচারে।


এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় দুদকের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে দুদকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া এ মহূর্তে জরুরি হয়েছে পড়েছে-এমন মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।


দুদকের কেমন সংস্কার হলে দেশ থেকে দুর্নীতি কমবে, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র পাবে দেশের মানুষ-এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যুগান্তরের পক্ষ থেকে দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, দুদকের সাবেক একাধিক মহাপরিচালক, বর্তমান মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং দুর্নীতি ও সুশাসন নিয়ে কাজ করেন-এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা তাদের কাজের অভিজ্ঞতা, সমস্যা, সংকট, দুদক আইন ও বিধিমালার ত্রুটি, ভবিষ্যৎ দুদক কেমন হবে, কীভাবে দুর্নীতি দূর করে রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়-এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত, যুক্তি ও ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। তাদের মতে, দুদক আইন যখন করা হয়, দেশে তখন দুর্নীতির এমন ভয়াবহতা ছিল না।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার