রাজধানীর অভিজাত শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের পঞ্চম তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরমানের চাচাতো ভাই মো. রোকন বলেন, আরমানের বন্ধু স্বাধীন বিদেশ যাওয়ার উপলক্ষে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে যমুনা ফিউচার পার্কে যায় রোববার বিকেলে। সঙ্গে আরমানকে নিয়ে যায়। আরমানকে বাইরে বসিয়ে স্বাধীন ফিঙ্গারপ্রিন্টের দিতে ভেতরে ঢুকে। এর কিছুক্ষণ পর আরমান স্বাধীনকে ফোন দিয়ে বলে, আমাকে আর পাবি না বন্ধু। আমার মামাতো ভাই রুবেলকে বলিস আমার মাকে দেখে রাখতে। তারপর ফোন কেটে দেয় আরমান। পরে সে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে বলে জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মশাদিয়া গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে রামপুরার হাজীপাড়ায় থাকত। আরমান নতুনবাজারে মামা ইলিয়ান তালুকদার রানার ভাতের হোটেলে কাজ করত আগে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বাবা রেনু মিয়ার ভাঙারির দোকানে কাজ করছিল। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল আরমান। আরমানের মা বেশ অসুস্থ। বেশ কয়েক দিন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ছিল। বর্তমানে বাসায় আছে।
ভাটারা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ও ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের জিজ্ঞেসাবাদ করে জানা গেছে, ওই দিন বিকালে যমুনা ফিউচার পার্কের পঞ্চম তলা থেকে ওই তরুণ লাফিয়ে নিচে পড়ে মারা যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ভাটারা থানা-পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ডিপ্রেশন থেকে এমনটি হতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।