উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিশমত গণকৈড় ইউনিয়নের রাতুগ্রাম সুজানগর বড়বিলে চলছে পুকুর খনন। প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে চারটি স্কুভেটার ভেকু মেশিন দিয়ে দিনরাত অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ করছেন মাহাবুর রহমান নামের এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। তিনি ক্ষমতাশীল দলের কিছু নেতাকর্মীর মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ পুকুর খনন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এই অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ। উপজেলার ২নং কিশমত গণকৈড় ইউনিয়নের রাতুগ্রাম সুজানগর বড়বিলে প্রায় ৩০ বিঘা তিন ফসলি জমিতে খনন করা হচ্ছে এই পুকুর। ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে তাদের ফসলি কৃষি জমি। এসব অবৈধ পুকুর খননের কারণে এবার পুরো বিলেই জমে ছিলো বর্ষা মৌসুমের পানি। পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাশনের কোন পথ না থাকার কারণে নষ্ট হয়েছে পানের বরজসহ আরও অনেক ফসল।
তারা বলেন, আমাদের দুঃখ দুর্দশার কারণই হল ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন। তাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে জোর দাবি খুব দ্রুত এসব অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়লে যার কৃষি নির্ভরশীল কৃষক পরিবার রয়েছে তারা পুরোপুরি বেকার হয়ে যাবে। এই অবৈধ পুকুর খননকারী মাহাবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা মাধ্যম দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছি। কৃষকের কাছ থেকে জমিগুলো লিজ নেয়া হয়েছে।
দুর্গাপুর নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা জানান, আমি এই পুকুর খননের বিষয়ে শুনেছি। খুব দ্রুত এই পুকুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শরিফুল হক জানান, জমির ধরণ পরিবর্তণ করা যাবে না। এটা অবৈধ। এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ এবং খননকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।