আলোচনায় নতুন দুই উপদেষ্টা


, আপডেট করা হয়েছে : 13-11-2024

আলোচনায় নতুন দুই উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন দুই উপদেষ্টা আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অতীত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও কর্মকান্ড ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তাদেরকে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করে অপসারণের দাবিতে গত দুই দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তার অভিনেত্রী স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা একে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তারা অনেকে শেখ হাসিনার সঙ্গে অভিনেত্রী তিশার হাস্যোজ্জ্বল ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তৈরি করা ফিল্মে শেখ হাসিনার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তিশা। 


অন্যদিকে শেখ বশির উদ্দীন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দীনের ভাই ও একটি মামলার আসামি এমন তথ্যও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তার নাম সম্বলিত মামলার কাগজের ছবি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে।


এদিকে ফ্যাসিবাদের দোসর নন বলে দাবি করেছেন নবনিযুক্ত দুই উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফারুকী দাবি করেন, তিনি ছাত্র আন্দোলনে ছিলেন ফেসবুক দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোহান শাহ নামের (৩০) এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামির তালিকায় নাম রয়েছে ‘শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’ নামের এক ব্যক্তির নামটি আংশিকভাবে মিলে যায় অর্ন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়া ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে। এমনকি সেখ বশিরের বাবার নামের সঙ্গে আসামি তালিকায় থাকা ‘শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’র বাবার নামের আংশিক মিল রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ‘শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’ নাম দিয়ে সেখ বশির উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে কিনা। 


বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন তিনি বলেন, নামের আংশিক সংগতি ও অসংগতি থাকলেও তিনি নিশ্চিত নন, মামলাটি তার নামে হয়েছে কিনা। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া ও সেখ বশির উদ্দিন একই ব্যক্তি কি না, তারা খতিয়ে দেখছেন তারা মামলার বাদী নিহত সোহান শাহর মা সুফিয়া বেগম বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ তার ছেলে হত্যার জন্য দায়ী। তিনি তার ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চান।


দুই উপদেষ্টার অপসারণ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ ভাস্কর্যের সামনে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, রংপুর ও যশোরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। গতকাল রাজধানীর পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাস্সিার পতন হয়েছে। তবে এখনো তাদের দোসরদের নানাভাবে পনর্বাসন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে ‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি’ বলছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ সমন্বয়ক-শিক্ষার্থী ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্টিভিস্টরা। 


এমনকি প্রতিবাদস্বরূপ আবারও নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি লাল করেছেন তারা। এ ঘটনার পর সর্বপ্রথম আবারো ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার আহ্বান জানান সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। । এরপরই শুরু হয় প্রোফাইল লাল করার হিড়িক। এরপর নিজের ফেত্বক প্রোফাইলের ছবি লাল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদল্লাহ সোমবার রাত ১০টা ৫২ মিনিটে হাসনাত আব্দল্লাহ লিখেন, ‘সাঈদ ওয়াসিম মঞ্জু, শেষ হয়নি যদ্ধ। ১৩৪ শে জুলাই, ২০২৪।’ এর আগে রবিবার ‘খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে’- বলে অভিযোগ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।


গতকাল মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে হাসনাত আদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা হাত মেলাচ্ছে, আরা আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে’ এর আগে আরেকটি পোষ্টে হাসনাত লিখেন ‘বশিল্প-ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা চরম ফাইজলামি এগুলা ভন্ডামি। আপনেরা হাসিনা হয়ে ওঠার চেষ্টা কইরেন না। হাসিনারেই থোরাই কেয়ার করছি, উৎখাত করছি। আপনেরা কোন হন্য হইছেন?


প্রসঙ্গত, আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে ‘তাওহিদি ছাত্র জনতা’-র ব্যানারে আয়োজিত এক সভা পণ্ড হয়ে যায়। সোমবার এই সভা থেকে পাঁচ জনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন শিবলী নোমান, ওসামা, মবিন ও তাওকীর।


এদিকে প্রতিবাদস্বরূপ ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। সেইসঙ্গে উপদেষ্টা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ১১টি প্রশ্নের উত্তরও চেয়েছেন তিনি। জানা গেছে, শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা-আমার মা’ শিরোনামে লেখার প্রশংসা করে একটি রিভিউ পোস্ট করেছিলেন ফারুকী সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘পড়তে পড়তে অনেক জায়গায় আমার নিজের মাকে দেখতে পেয়েছি, নানাকে দেখতে পেয়েছি, মায়ের সংগ্রাম দেখতে পেয়েছি, বাবাকে দেখতে পেয়েছি।’ এছাড়া গত ৭ আগস্ট নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা ফারুকী লিখেছিলেন, ‘আমি মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একটা জরুরি কাজ হবে ৩২ নম্বরের বাড়ির সংস্কারকাজ শুরু করা। এই বাড়িকে আপের চেহারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং এ বাড়ি সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবি, স্মৃতিস্মারক যা যা পাওয়া যায় তা দিয়ে যাদুঘর আবার চালু করা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর ইউনূসের উচিত হবে। নিজেই বাড়িটা ভিজিট করা।’ ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া এসব লেখার স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। 


এদিকে সমালোচনা থেকে বাদ যাননি ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিনও। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আফিল উদ্দিনের ভাই হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে সমালোচিত হয়েছেন। আফিল উদ্দিন ২০০৯ সাল থেকে টানা চারবার আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া উত্তরবঙ্গ তথা রংপুর ও রাজশাহীর ১৬ জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টাদের নিয়োগ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীরা। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও শেখ বশির উদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 


লালমনিরহাট প্রতিনিধি ও আদিতমারী সংবাদদাতা জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, উপদেষ্টা পদে এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না, যার কারণে সরকার বিতর্কিত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রে পুনর্গঠনে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আজ যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা হাতছাড়া করা যাবে না। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যেক সেক্টরকে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। তাই সংস্কার দ্রুতই সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কারকাজ করতে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ীর শহিদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে ‘শহিদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপ-মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সোমবার রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী ঘরানার লোকজন উপদেষ্টা পরিষদে ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেন।


‘উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বিদেশি চাটুকারদের’: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ফ্যাস্টিস্টের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন করেছে। কিন্তু চিহ্নিত একটি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ দেশের শহিদদের সঙ্গে বেঈমানি করছে। উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বিদেশি চাটুকারদের। যারা ইসলাম ও দেশের প্রশমন। দেশের সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ শহরের এটিম মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার গণ-সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 


আমি কোনো পদ চাই নাই, বললেন ফারুকী: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার প্রথম অফিস করেন ফারুকী। এরমধ্যে তাকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলোর প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। বিষয়গুলো নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন ফারুকী। ফারুকী সেই স্ট্যাটাসে বলেন: ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমি নাকি ফ্যাসিস্টের দোসর। যেই ফ্যাসিস্টকে তাড়ানোর জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালাম ১৬ জুলাই থেকে, অল আউট অ্যাটাকে পেলাম এটা জেনে যে ফ্যাসিস্ট হাসিনা টিকে গেলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু অথবা জেল, আমি তারই সহযোগী? আমি আমার চেয়ারের জন্য কোনো সাফাই দেয়ার প্রয়োজন মনে করছিনা। কিন্তু শিল্পী হিসাবে অপমানিত বোধ করেছি বলেই কয়টা কথা বলছি।... অনেকে বলছে, আমি ভারতীয় হেজেমনির অংশ। যে লোককে বাংলাদেশের কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট ঘৃণা করে আমি কোলকাতা কেন্দ্রিক ভাষার হেজেমনি ভেঙ্গে দিয়েছি বলে, সেই কিনা এই হেজেমনির অংশ। ফেলানীর মৃত্যুর পর কি পোস্ট দিয়েছিলাম ২০১৩ সালে সেটা দেখতে পারেন নীচে। আমার অবস্থানের উপহার হিসাবে ভারতীয় হাই কমিশনে একসময় কর্মরত রনজন মন্ডল নামের এক কর্মকর্তা তার ফেসবুকে পাবলিক পোস্ট দিয়ে বহুবার কি অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেছিলো সেটা খোঁজ করে দেখুন। আর সেই আমি পার্ট অব হেজেমনি?’


তিনি আরো লিখেন, ‘আমি তো কোনো বিপ্লবী নই। ছিলাম না কোনো কালে আমি ফিল্মমেকার। ঘটনাচক্রে এবং আল্লাহর রহমতে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি আমার সেই পরিচয়েই গর্বিত। ফলে মন্ত্রীত্ব আমার কাছে কোনো অর্জন না, পাবলিক সারডেন্টের দায়িত্ব মাত্র আমি এটা ফাইনালি অ্যাকসেন্ট করেছি নিজের ফিল্ডের বাইরেও আমার দেশকে কিছু দেয়ার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে- এটা বিশ্বাস করেছি বলে। আমার মনে হয়েছে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে নিজের লাড-ক্ষতি না ভেবে এই ক্ষমতা দেশের কাজে লাগাই। লাস্টলি, আই অ্যাম লাভিং মাই জব। বাট আই অ্যাম হেইটিং দ্য ফ্যাক্ট দ্যাট আই হ্যাড টি রাইট দিস।’



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার