দর্শনার্থীর ভিড় বেড়েছে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে। সরকার ঘোষিত ঈদের ছুটি শেষ হলেও জাদুঘর এলাকায় এখনো ছুটির আমেজ। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে আবার কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে এসেছেন এখানে।
বুধবার (১৩ জুলাই) জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন। ছোট থেকে বড় সব বয়সী মানুষ ভিড় করছে এখানে।
লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার ঝমেলা এড়াতে অনেকে বাসা থেকে অনলাইনে টিকিট কেটে এসেছেন। আবার অনেকে জাদুঘরের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক টিকিট কেটে প্রবেশ করছেন।
জাতীয় জাদুঘরে দর্শনার্থীর ভিড়
অনলাইনে টিকিট কেটে পরিবার নিয়ে জাদুঘরে প্রবেশ করেন রিয়াজ উদ্দিন। তার সঙ্গে আছে দুই সন্তান, স্ত্রী ও দুই বোন। অনলাইনে টিকিট কেটে প্রবেশ করেন তিনি। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ঈদ গ্রামে করেছি। মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা ফিরেছি। দেখলাম এখনো রাস্তাঘাট ফাঁকা । তাই ভাবলাম সবাইকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি। জাদুঘর আমাদের ঐতিহ্য। এখানে আসলে গ্রাম বাংলার অনেক হারিয়ে যাওয়া বিষয় ও ইতিহাসের সঙ্গে সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়।
ঢাকাতেই ঈদ করেছেন মোসলেম উদ্দিন। ছোট সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন জাদুঘরে ঘুরতে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, যেহেতু ঈদ রাজধানীতেই করেছি তাই এখানে আসলাম।
খিলগাঁও এলাকা থেকে রাসেল ও রবিউল দুই বন্ধু ঘুরতে এসেছেন জাদুঘরে। জাগো নিউজকে রাসেল বলেন, জাদুঘরে আমরা এর আগেও এসেছি। মাত্র বিশ টাকায় অনেক কিছু দেখা যায়।
প্রত্যেক দর্শনার্থীকে তল্লাশি করে প্রবেশ করাচ্ছেন জাদুঘরের প্রধান ফটকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আল আমিন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটা থাকলে সরাসরি ভেতরে প্রবেশ করা যায়। আর সরাসরি টিকিট কেটে সিরিয়াল ধরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। অনেকেই গেটের সামনে থেকেই টিকিট কেটে প্রবেশ করছেন।
কেমন দর্শনার্থী আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হলেও ভালোই লোকজন আসছে। দুপুরের পর আরও বাড়ে।
সপ্তাহে শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে জাদুঘর। বৃহস্পতিবার ছুটির দিন। শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এছাড়া ঈদের ছুটিতে কোনো শিডিউল পরির্তন করেনি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।