টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেও সাবিনা খাতুনরা অবহেলিত-ই রয়ে গেলেন। সাফে চার ম্যাচ খেলে যে ম্যাচ ফি পাওয়ার কথা সেটা এখনও তাদের বুঝিয়ে দেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সেপ্টেম্বর মাসের বেতনেরও দেখা নেই। আর সাফ জয়ের পর যে দেড় কোটি টাকা বোনাসের ঘোষণা দিয়েছে বাফুফে, সেটা এখনও দূর আকাশের চাঁদ।
বাফুফেতে নতুন যুগের পত্তন হয়েছে। কাজী সালাউদ্দিনের কাছ থেকে বাফুফের শীর্ষ কর্তার ব্যাটন হাতে পেয়েছেন তাবিথ আউয়াল। কিন্তু খেলোয়াড়দের পাওনা বাকি রাখা যে বাফুফের ‘সংস্কৃতি’র অংশ হয়ে গেছে।
এমনকই খেলোয়াড়দের পাওনা নিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অপচেষ্টাও লক্ষ্য করা গেছে বাফুফের কাছ থেকে। এই যেমন নারী ফুটবলারদের গত সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এখনও বকেয়া। অথচ বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান সমালোচনার মুখে দাবি করেছিলেন শুধু অক্টোবরের বেতন এখনও দেওয়া হয়নি।
কিন্তু খোদ নারী ফুটবলাররা এবং বাফুফের দায়িত্বশীল বিভাগ বলছে, এখনো সেপ্টেম্বরের বেতন হয়নি। এছাড়া সাফের চার ম্যাচের ফি’র পাশাপাশি গত জুন-জুলাই উইন্ডোতে খেলা চার ম্যাচের ফি’ও বকেয়া।
বাফুফের আর্থিক দৈন্যতার কথা কমবেশি সবার জানা। কাজী সালাউদ্দিন বরাবরই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতেন। বিত্তবানদের কাছে ফুটবলারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাতে দেখা যায় নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণকে।
সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাফজয়ী ফুটবলারদের পুরস্কৃত করেছে। কিন্তু বাফুফে যে নিজেদের প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করতে পারছে না।
সাফ চ্যাম্পিয়ন ফুটবলাররা এখন ছুটিতে আছেন। ছুটিতে যাওয়ার বাফুফের কাছ থেকে কিছুই পাননি তারা। শোনা যায়, দ্রুতই খেলোয়াড়দের ছুটি থেকে ফেরানোর পরিকল্পনা নেই, কারণ ক্যাম্পে ফিরলেই ফেডারেশনের ঘোষণাকৃত দেড় কোটি টাকা বোনাসের চাপ বাড়বে।