বগুড়ায় যুবলীগ কর্মী লাখিন গ্রেফতার


, আপডেট করা হয়েছে : 30-11-2024

বগুড়ায় যুবলীগ কর্মী লাখিন গ্রেফতার

বগুড়া জেলা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী খায়রুল আলম লাখিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানা পুলিশ শনিবার সকালে তাকে শহরের লতিফপুর কলোনির বেলজিয়াম মাঠ এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। 


সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, যুবলীগ কর্মী লাখিনকে একটি সন্ধিগ্ধ নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলা যুবলীগ কর্মী খায়রুল আলম লাখিন বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনির বেলজিয়াম মাঠ এলাকার আলহাজ নুরুল ইসলামের ছেলে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় তার ছবিসহ বড় বড় ব্যানার শোভা পায়। তখন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী লাখিন জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ভাগ্নে। সাঈদী তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। তিনি বগুড়া জেলা যুব পরিষদের সভাপতি, তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের জেলা সভাপতি, লায়ন্স ক্লাব অব বগুড়া মহাস্থানের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব হিউম্যান রাইটসের সহ-সভাপতি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনি সহায়তা কেন্দ্র- আসক ফাউন্ডেশনের জেলা সভাপতি, হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।


সদর থানা পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে গোপনে খবর পেয়ে লাখিনকে শহরের লতিফপুর কলোনির বেলজিয়াম মাঠ এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 


ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, লিখন জেলা যুবলীগের কর্মী। তাকে একটি সন্ধিগ্ধ নিয়মিত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, খায়রুল আলম লাখিন তার সংগঠনের সক্রিয় কর্মী। তিনি জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ভাগ্নে এমন প্রচারণা ছিল। কিন্তু বাস্তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। বগুড়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক সুমন জানান, যুবলীগ কর্মী খায়রুল আলম লাখিন একজন প্রতারক; বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার