বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মৃত্যুদণ্ড-যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার রায় দেন। এদিন রায় ঘোষণা উপলক্ষ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের আদালতে উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল এজলাস। বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা শুরু করেন হাইকোর্ট।
রায় ঘোষণার পর বিএনপির আইনজীবীরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।
এ মামলায় বিএনপির অন্যতম আইনজীবী এবং দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেছেন, ‘এই মামলায় মোট চারটি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। প্রথম তিনটি চার্জ শিটে তারেক রহমানের নাম ছিল না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর চতুর্থ চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।’
তিনি বলেন, ‘আজ প্রমাণিত হয়েছে এই চার্জশিট আইন বহির্ভূত ছিল। তাই এই চার্জশিটে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল তারা এ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, যারা এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন এবং আপিল করেছেন বা আপিল করেননি সবাইকে এই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘এভাবে তারেক রহমান ন্যয়বিচার পেয়েছেন; আজ প্রমাণিত হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেই মামলায় আইনগতভাবে মোকাবিলার মাধ্যমে তিনি আজ বেকসুর খালাস পেয়েছেন।’
‘বিচারককে অবৈধ’ বলার কারণ হিসেবে বিএনপির সিনিয়র আইনীজীবীদের অন্যতম দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘২১ আগস্টে বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল পাশের একটি ময়দানে। কিন্তু তারা সরকারকে না জানিয়ে স্থান পরিবর্তন করে রাস্তার মধ্যে সমাবেশ করেন। এটা ছিল উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তৎকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তিনি (শেখ হাসিনা) এই কাজটি করেছেন। এই গ্রেনেড হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল।’
জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত সব সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে চার্জশিটের আলোকে তাদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা টিকতে পারে না। কেননা সরাসরি প্রমাণ ছাড়া কাউকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন দেওয়া যায় না।