পায়ে পড়ে ঝগড়া করলে বাংলাদেশি কেউ আর ভারতমুখী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর আধুনিক নদী বন্দর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে লঞ্চঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই। কিন্তু উনারা যদি পায়ে পড়ে ঝগড়া করেন, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনদিন ওই দেশমুখী হবে না। মনে রাখবেন এটা ১৮ কোটি মানুষের দেশ, আপনাদের আশেপাশে থাকা ছোটখাটো দেশ নয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে, অথবা তলব করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমাদের দেশে অন্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তারা আমাদের দেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তার বিষয় আমরা দেখব এবং সরকারের কাজই হলো এটি।’
বন্দরের নির্মাণ কাজে অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পূর্বে যারা কাজটির অনিয়ম কিংবা চুরি করেছে, তাদেরকে আর জাল দিয়ে ধরে আনা যাবে না। এখন যাতে করে কোনো ধরনের চুরি না হয় সেটাই আমাদের দেখা দরকার। নানা কারণে কাজটি করতে দেরি হচ্ছে, যে কারণে নিজেই দেখার জন্য এসেছি। যে প্রতিষ্ঠান কাজটি নিয়েছেন, তাদের পূর্বেই চিন্তা করা দরকার ছিলো কাজটিতে চ্যালেঞ্জ আছে। যদি তাদের কারণে বিশ্বব্যাংকের এই বরাদ্দ ফেরত যায়, তাহলে এই ঠিকাদারকে ধরব।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চাঁদপুরে একটি ভালো প্রকল্প হচ্ছে, আমি চাঁদপুরবাসীর কাছে অনুরোধ করব আপনাদের যা যা সহযোগিতা করা দরকার, তাই করুন। অনেকে এখানে অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা তুলেছেন। বলছেন, রেলওয়ের জায়গা। আমরা কারো সঙ্গে আপোষ করব না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আপনাদের অর্থাৎ জনগণের জন্য। এখানে আমরা এসে থাকব না। আপনারা ব্যবহার করবেন। এটি নির্মাণে যদি কোনো অনিয়ম হয়, সে বিষয় তুলে ধরেন।’
মেঘনায় ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে আসার সময় চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ এর মাঝামাঝি ষাটনল এলাকায় দেখেছি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। আমাকে দেখে তারা পালিয়েছে। কিন্তু আমি ছবি তুলে রেখেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসককে ডেকেছি কথা বলার জন্য। আমি সেখানে যাব। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তহ বিআইডাব্লিউটিএর স্থানীয় কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।