শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। গোতাবায়ার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবিবর্ধনে।
শুক্রবার স্পিকারের গণমাধ্যম বিভাগের বরাত দিয়ে শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিরর এ তথ্য জানিয়েছে।
বলা হয়েছে, আজই গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে আজই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে পারেন।
শ্রীলংকার গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের ৩৮.১ ধারা অনুযায়ী গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবিবর্ধনে। এ পরিস্থিতিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এখন থেকে চালু হবে। এই সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
দেশটির স্পিকার বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়ে দলীয় নেতাদের সভায় আমাকে জানানো হয়েছে১৯৮১ সালের বিশেষ বিধান আইন ২ নং এবং সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন করা হবে। এই প্রক্রিয়াটি সফলভাবে এবং দ্রুত সম্পন্ন করা আমার উদ্দেশ্য।
সরকারের অব্যবস্থাপনায় গত কয়েক মাস ধরেই বিক্ষোভ চলছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের কার্যালয় দখল করে নেয়। আর্থিক সঙ্কট ও মূল্যস্ফীতিতে ভোগছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
বুধবার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া বুধবার স্ত্রী আইওমাকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে চলে যান। তবে সেখানেও প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তাদের সঙ্গে যোগ দেন মালদ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারাও।
সে সময় গোতাবায়াকে আশ্রয় দেওয়ায় মালদ্বীপের রাজনৈতিক দলগুলো দেশটির সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিল।
মালদ্বীপের প্রধান বিরোধী দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ মালদ্বীপও (পিপিএম) গোতাবায়া রাজাপাকসেকে আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল।
পরে প্রাইভেট জেটে করে মালদ্বীপ ত্যাগ করতে চাইলেও শেষে সৌদি এয়ারলাইনসে তিনি সিঙ্গাপুরে পৌঁছান।
মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর পর গোতাবায়া মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, গোতাবায়াকে ব্যক্তিগতভাবে সিঙ্গাপুরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সিঙ্গাপুরে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। ব্যক্তিগত সফরে সেখানে অবস্থান করছেন। তার পরবর্তী গন্তব্য সৌদি আরব।