ভারত থেকে এলো ২৪ হাজার টন চালের বড় চালান


, আপডেট করা হয়েছে : 26-12-2024

ভারত থেকে এলো ২৪ হাজার টন চালের বড় চালান

ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় কেনা চালের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সকালে চালভর্তি জাহাজ ‘এমভি তানাইজ ড্রিম’ ১১ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। প্রথম চালানে জাহাজটিতে ২৪ হাজার ৬৯০ টন বস্তাভর্তি সিদ্ধ চাল রয়েছে।



এদিকে ওই দিনই জাহাজটি থেকে চালের নমুনা সংগ্রহ করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।



বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদুর্শী চাকমা।



এদিকে আমদানি করা এই চাল বাজারে গেলে দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।



চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বুধবার বিকালে ভারত থেকে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সিদ্ধ চাল নিয়ে ‘এমভি তানাইস ড্রিম’ নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে জাহাজটি বন্দর জেটিতে ভিড়ে। এই চাল সরবরাহ করেছে ‘সেভেন সিজ শিপিং লাইন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চাল খালাসের নানা আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।



খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম কায়ছার আলী, চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদুর্শী চাকমা ও সহকারী নিয়ন্ত্রক দেলোয়ার হোসেন মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাহাজে উপস্থিত হয়ে চালের নমুনা সংগ্রহ করেন। এটা দিনে দিনেই ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করে চালের গুণগতমান ভালো ও খাওয়ার উপযোগী বলে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।



বৃহস্পতিবার রাতেই চাল খালাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।  সব চাল জাহাজ থেকে খালাস করতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন।



সূত্রে জানা যায়, দেশে খাদ্যশস্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, সরকারি গুদামে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯২ টন চাল, ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫৬ টন গম এবং ৪ হাজার ৪২০ টন ধান মিলে সর্বমোট ১১ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৬ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এটি সরকারি গুদামের মজুত। এর বাইরে চালের মোকাম, দোকান, মানুষের বাসাবাড়িতে প্রচুর চালের মজুত রয়েছে।



খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ লুৎফর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমাদের দেশেও চাল ও গম উৎপাদন হয়। তা দিয়ে চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হয়। তারপরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি পর্যায়ে চাল ও গম আমদানি করা হয়। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করেছিলাম। চালের প্রথম চালানটি এসেছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই খালাস শুরু হবে।



তিনি আরও বলেন, এসব চাল আমদানির ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বা চালের দাম কমে আসবে। যেহেতু সরবরাহ বাড়বে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে আসবে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার