সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্যরা।
রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস রাওয়া কমপ্লেক্সে সেনাপ্রধানের উপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধান পিলখানায় বিজিবি হত্যাকাণ্ড এবং মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার ত্বরান্বিত করার বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোকপাত করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কার্যনির্বাহী পর্ষদের সব সদস্যের সঙ্গে সেনাপ্রধানের পরিচিতির পরে রাওয়ার পক্ষ থেকে এর ইতিহাস, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যপ্রণালি এবং অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে সেনাপ্রধানকে অবহিত করা হয়। একই সঙ্গে রাওয়ার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কর্তৃক সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য গৃহীত ও ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রমের কথা তুলে ধরা হয়।
রাওয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব পার্থক্য কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলো, যেমন বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে উন্নত হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা, উন্নত দন্ত চিকিৎসা দেওয়াসহ ৬১টি জেলায় ডিসপেনসারির মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহের কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের স্ত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা বর্ধিত করার কথা উল্লেখ করেন।
সেনাপ্রধান বিবিধ বঞ্চিত সেনা কর্মকর্তাদের প্রাপ্য সুযোগ–সুবিধা যাচাই-বাছাই ও নিশ্চিতের জন্য নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্য অন্তর্ভুক্তিসহ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন, জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে রাওয়ার জন্য জমি বরাদ্দ করা, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করা এবং রেশন বা রেশন ভাতা পুনর্নির্ধারণসহ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের জন্য নানাবিধ কল্যাণমূলক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
সেনাপ্রধান পিলখানায় বিজিবি হত্যাকাণ্ড এবং মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ ছাড়া মৃত মেজর জাহিদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
এ সময় কিউএমজি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী; জিওসি লগ এরিয়া এবং সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।