রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগর কর্মী সম্মেলন শেষে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহরের সব ব্যানার ও ফেস্টুন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) সম্মেলন শেষ হওয়ার পর বিকেল থেকেই নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ শুরু করেন।

নগর জামায়াতের আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী এবং সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল নিজেরা এ কার্যক্রমে অংশ নেন। তাদের সঙ্গে নগর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন এবং সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকারকেও কর্মীদের নিয়ে অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এ কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তাঁর আগমন উপলক্ষে পুরো শহর ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে সজ্জিত হয়েছিল। সম্মেলন শেষে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহরের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রাখতে সব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়।

নগর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন বলেন, “জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। সম্মেলন শেষ হওয়ার পরপরই আমরা ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নেওয়া শুরু করি যেন শহরের পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট না হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শেষ করেছি, এবং কোনো স্থানে কিছু বাকি থাকলে সেটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সম্মেলনে প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন, তবে কোনো বাস শহরের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীরা পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে গেছেন, ফলে শহরে কোনো যানজট বা জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়নি।”

রাজশাহীতে এ ধরনের বড় রাজনৈতিক কর্মসূচির পর দলের পক্ষ থেকে নিজ উদ্যোগে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের এমন দৃষ্টান্ত বিরল। শহরের বাসিন্দারাও এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

• সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

• উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার